ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে ও ব্রিটেনে লেবার দলীয় পার্লামেন্ট সদস্য টিউলিপ সিদ্দিকের নাম ঢাকার গুলশানে বিলাসবহুল এক ১০ তলা অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের বাসিন্দা হিসেবে তালিকাভুক্ত ছিল।

শুধু টিউলিপ সিদ্দিকই নন, তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যরাও লন্ডনে বাড়ি বা ফ্ল্যাট পেয়েছেন, যার মধ্যে ৬ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড মূল্যের একটি ফ্ল্যাট এবং উত্তর লন্ডনে ১৫ লাখ ৮০ হাজার পাউন্ড মূল্যের একটি বাড়ি উল্লেখযোগ্য।

তিনি বাংলাদেশ সরকার ও দুদকের কাছে টিউলিপ সিদ্দিককে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন। টিউলিপ বর্তমানে তার খালা শেখ হাসিনার সঙ্গে দুর্নীতির যোগসূত্রের জন্য তদন্তাধীন।

এ দেশের মানুষকে শোষণ করে বিদেশে বিলাসী জীবনযাপন ছিল তাদের লক্ষ্য। ফলে হাসিনা ও রেহানার কোনো সন্তান দেশে বসবাস করার প্রয়োজন বোধ করেননি। তাদের শাসন পরিচালনার পদ্ধতি ছিল চোরতন্ত্র কায়েম করা, যাদের মাধ্যমে দেশের সম্পদ লুট করে পাচার করা যাবে।

বাংলাদেশের সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পর্কের কারণে টিউলিপ সিদ্দিককে তার পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হতে পারে। তার পরিবর্তে নতুন প্রার্থীদের নাম প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমারের জ্যেষ্ঠ সহযোগীরা বিবেচনা করছেন।

ফ্ল্যাটকাণ্ডের পর প্রথমবার প্রকাশ্যে দেখা গেছে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির অর্থ ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে। কিছুদিন আড়ালে থাকার পর অর্থ মন্ত্রণালয়ে তার অফিসে দেখা গেছে।

যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে একটি ফ্ল্যাট দিয়েছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত একজন আবাসন ব্যবসায়ী।

যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে একটি ফ্ল্যাট দিয়েছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত একজন আবাসন ব্যবসায়ী।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, তার বোন শেখ রেহানা ও তার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিকের জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।