আওয়ামী আমলে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট খাত থেকে লুটে নেওয়া হয়েছে হাজার কোটি টাকা। নামে-বেনামে বিভিন্ন কোম্পানির মাধ্যমে কখনো জয় বাংলা কনসার্ট, কখনো লেটস টক উইথ হাসিনা আর উন্নয়নের বানোয়াট গল্পের আড়ালে জনগণের টাকা লোপাট হয়েছে
পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে ব্যাংকখাতে সীমাহীন লুটপাট হয়েছে। লুটপাটের মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়েছে এ খাত। এসবের অন্যতম সহযোগী ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া গভর্নর এবং ডেপুটি গভর্নররা।
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ার বটতলা বাজারে বসতঘর ও দোকানে প্রবেশ করে পরিবারের আটজনকে বেঁধে মালামাল লুট ও ভাঙচুর করা হয়েছে।
তিস্তা সড়ক সেতুর টোল প্লাজায় পুলিশের টহল দলের সামনে হেলমেটধারী সশস্ত্র ডাকাতদের হামলায় তিন কর্মচারী গুরুতর আহত হয়েছে। এ সময় তারা ১৪ লাখ টাকা লুট করেছেন বলে দাবি করেন ইজারাদার। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে নিরাপত্তা কর্মীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একটি পোশাক কারখানার মূল্যবান মালামাল লুট করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ভোর রাতে উপজেলার কালামপুরের 'ডিসক্রিট ফ্যাশন ওয়্যার লিমিটেড' পোশাক কারখানায়।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও এর অধীন অধিদপ্তরগুলোতে ব্যাপক লুটপাট চালানোর অভিযোগ সাবেক নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। লুটপাটতন্ত্রের কারণে অলিখিত এক ‘মাফিয়া ডনে’ পরিণত হয়েছিলেন খালিদ।
১৬ মার্চ রাতে হাইমচরের বাংলাবাজারে এ ঘটনা ঘটে। রাত আনুমানিক ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে প্রায় ৪০০ জন লোক বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করে বাজারে হামলা চালায়।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় লুটপাট ও দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছিল দেশের অন্যতম ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানা।
কয়েক দফা মেয়াদ বৃদ্ধির পর ৮ বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নতুন ক্যাম্পাস প্রকল্প। এ প্রকল্পের এক হাজার ৯২০ কোটি টাকার মধ্যে ৫৪১ কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
সব শিক্ষকদের সাথে সরকারের উপদেষ্টারা কথা বলবেন এবং তাদের সমস্যা সমাধানে দ্রুত উদ্যোগ নিবেন। শিক্ষা খাতসহ সকল খাতে লুটপাট এখনও বন্ধ হয়নি। চুরি, দুর্নীতি, লুটপাট ভয়ঙ্করভাবে হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে ব্যাংক খাতে সীমাহীন লুটপাট হয়েছে। লুটপাটের মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়েছে এ খাত।
আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের করাল গ্রাসে ধ্বংস হয়ে গেছে দেশের প্রতিটি খাত। বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাত ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। অবৈধ আর্থিক লেনদেন, স্বজনপ্রীতি করে প্রয়োজনের তুলনায় তিনগুণেরও বেশি লোকবল নিয়োগ দিয়েছে ইডিসিএল।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেড় লক্ষাধিক ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনাকাটায় বড় ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইভিএম মেশিন কেনা হয়েছে প্রচলিত দামের ১০ গুণেরও বেশি টাকায়।
তথ্য-প্রযুক্তি খাতে হাসিনাপুত্রের একের পর এক দুর্নীতির খবর যখন বেরিয়ে আসছে, ঠিক তখনই সেই আমলের ‘বৈঠক’ নামের একটি কনফারেন্সিং প্ল্যাটফর্ম থাকার পরও নতুন একই ধরনের আরেকটি প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দের নামে লুটপাটের ক্ষেত্র তৈরির অভিযোগ উঠেছে।
নজরুল ইসলাম মজুমদার ঋণের নামে দেশের সাতাশটি ব্যাংক থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা। এছাড়াও তিনি বেনামি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে কয়েক হাজার কোটি টাকা লুটেছেন।
অপারেশন থিয়েটারে অস্ত্রোপচারের রোগীকে অজ্ঞান করতে অ্যানেসথেসিয়া অ্যান্ড ভেন্টিলেটর মেশিনে ব্যবহৃত হয় আইসোফ্লুরেন ভ্যাপোরাইজার। জীবনরক্ষাকারী এ যন্ত্র কেনাকাটায়ও অভিনব দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে।
সিলেটে ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতাল প্রকল্পের নামে শতকোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাসপাতালের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের ব্যবস্থা না করেই কেবল ভবন তুলতে ব্যয় করা হয় বিশাল পরিমাণ এই অর্থ।