ট্রাম্প-সিসির সভাপতিত্বে

মিশরে ‘গাজা শান্তি সম্মেলনে’ থাকছেন যেসব বিশ্ব নেতা

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২২: ০০
আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২২: ০৮

মিশরের লোহিত সাগর উপকূলীয় শহর শার্ম আল-শেখে সোমবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক ‘গাজা শান্তি সম্মেলন’, যেখানে ২০টিরও বেশি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান অংশ নেবেন। সম্মেলনটি মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যৌথ সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার তুরস্কভিত্তিক গণমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মিশরের প্রেসিডেন্ট দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এই সম্মেলনের লক্ষ্য হলো গাজা উপত্যকায় যুদ্ধের অবসান ঘটানো, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার নতুন অধ্যায় সূচনা করা।

আল-কাহেরা নিউজ চ্যানেল এবং ইউম সেভেন ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্মেলনে যেসব বিশ্বনেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন —মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি, সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ, মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ, বাহরাইনের বাদশাহ হামাদ বিন ঈসা আল খলিফা, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান (তবে তেহরান আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদানের বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করেনি), ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কাইর স্টারমার, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি আন্তোনিও কোস্টা।

এর আগে, ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে ইসরাইল ও হামাস তাঁর প্রস্তাবিত ২০ দফা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার প্রথম ধাপে সম্মত হয়েছে। পরিকল্পনাটি অনুযায়ী, গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা ধীরে ধীরে প্রত্যাহার এবং প্রায় ২,০০০ ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তির বিনিময়ে ইসরাইলি বন্দীদের ফেরত দেওয়া হবে। এই প্রথম ধাপটি ইতোমধ্যেই কার্যকর হয়েছে।

পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপে হামাসবিহীন একটি নতুন প্রশাসন গঠন, বহুজাতিক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন এবং হামাসের নিরস্ত্রীকরণের বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরাইলি হামলায় ৬৭,৬০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। যুদ্ধের কারণে গাজা উপত্যকা কার্যত বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে, শার্ম আল-শেখের আসন্ন সম্মেলনকে অনেক বিশ্লেষক গাজা সংকট নিরসনে সম্ভাব্য কূটনৈতিক মোড় হিসেবে দেখছেন।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত