
আমার দেশ অনলাইন

ভারতে দক্ষিণপন্থি হিন্দুরা তাদের সাংস্কৃতিক প্রতীককে এখন সামাজিক-রাজনৈতিক যুদ্ধে পরিণত করেছে। চলতি বছরের দীপাবলি উৎসবে তা কল্পনাতীতভাবে ছাড়িয়ে গেছে। দিল্লিতে উদ্যাপিত দিপাবলী’র আতশবাজির সঙ্গে তারা গাজার আকাশে আলোকিত বোমার একটি সমান্তরাল চিত্র তুলে ধরেছে। যা মূলত হিন্দুত্ব ও ইহুদিবাদের মধ্যে গভীর আদর্শ প্রকাশের পাশাপাশি ভারতীয় মুসলমানদের হেয় করার একটি নতুন অপকৌশল।
সম্প্রতি মিডল ইস্ট আই-এ প্রকাশিত এক নিবন্ধে এমন মতামত দিয়েছেন লেখক মোহাম্মদ আকিব।
ভারতের একসময়ের আলো, রঙ এবং ভক্তিময় উৎসবগুলি বর্তমানে পরিণত হয়েছে ভয় দেখানোর দৃশ্যে। মুসলমানদের সাথে করা অন্যায়ের উপর নির্মিত পরিবেশ পরিণত হয়েছে বিশিষ্ট হিন্দু উৎসব আধিপত্যের বার্ষিক প্রদর্শনীতে। যার মাধ্যমে বিশ্বাসের ভাষা প্রতিস্থাপিত হয়েছে ঘৃণার বাগাড়ম্বরে। বছরের পর বছর ধরে আদর্শিক পতনের মাধ্যমে গড়ে ওঠা এই রূপান্তর, ভারতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠদের ধর্মকে পরিণত করেছে রঙ্গমঞ্চে।
এবছর ভারতীয় সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে, অসংখ্য ডানপন্থি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে-এ উৎসবটি উদযাপন করেছেন, গাজার বোমা হামলার সাথে দীপাবলিতে ফুটানো আতশবাজির তুলনা করে।
ভারতীয় এই নৈতিক পতনে যোগ দিয়েছেন সিনেমাটিক সাহসিকতার চলচ্চিত্র নির্মাতা রাম গোপাল ভার্মা। তিনি তার এক্স পোস্টে বলেছেন “ভারতে মাত্র একদিন দীপাবলি এবং গাজায়, প্রতিটি দিন দীপাবলি।
ব্যাপকভাবে শেয়ার করা এমন বিবৃতি মূলত রাজনৈতিক সংস্কৃতির হীনতাকেই তুলে ধরে, যেখানে গণহত্যাকে দেখানো হয়েছে একটি উৎসবের শুভেচ্ছা মাধ্যম। ইন্টারনেট জুড়ে এই রকম বার্তা, মূলত গাজার ধ্বংসকে উপহাস করা আর এর ট্র্যাজেডিকে উদযাপন করা।
গাজাকে এমনভাবে উপস্থাপন, গাজাকে কেবল একটি দূরবর্তী যুদ্ধক্ষেত্র নয়, বরং মুসলিমদের উপর তাদের নিজস্ব কাল্পনিক বিজয় হিসেবে দেখেন হিন্দুত্ববাদীরা। উৎসবকে এতটাই সাম্প্রদায়িকীকরণ করা হয়েছে যে, সহিংসতা বা উত্তেজনা এখন প্রায় প্রত্যাশিত। হোলির সময়, মসজিদগুলিকে রঙের ছিটানো থেকে রক্ষা করার জন্য ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়, রাম নবমীর মিছিলগুলি পরিণত হয় নিয়মিত দাঙ্গায়।
বিশেষ করে কপটতা হল সোশ্যাল মিডিয়ায় এই আচারণগুলিকে ডিজিটাল জগতে ব্যাপকহারে প্রসার করেছে। উৎসবটি তখন আর রাস্তায় শেষ হয় না; এটি স্ক্রিনে, হ্যাশট্যাগ এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে চলতে থাকে। গাজাকে উপহাস করে দীপাবলির মিম, মুসলিম মহিলাদের উপর হামলার হোলির ভিডিও এবং রাম নবমীর রিলগুলি রাস্তার সহিংসতা উদ্যাপন করছে - এগুলি ঘৃণায় মত্ত একটি সমাজের নতুন সাংস্কৃতিক প্রযোজনা।
ভারতের মুসলমানরা দীর্ঘদিন ধরেই গাজার ফিলিস্তিনিদের সাথে গভীর সংহতি প্রকাশ করছে। কিন্তু তাদের এই সহানুভূতি হিন্দু ডানপন্থীদের অস্থির করে তোলে। তাই তারা ভারতীয় মুসলমানদের মানসিকভাবে হয়রানি করার জন্য, গাজাকে উপহাসের প্রতীকে পরিণত করে।
যখন একটি সমাজ বোমা হামলাকে ঐশ্বরিক প্রদর্শনী হিসেবে উদ্যাপন করে, তখন তার উৎসবগুলি ঘৃণার স্লোগানে প্রতিধ্বনিত হয় এবং যখন তার শিল্পীরা মৃতদের উপহাস করে, তখন এটি রাজনৈতিক ক্ষয়ের চেয়ে অনেক বেশি গভীর কিছুর ইঙ্গিত দেয়। এটি একটি অসুস্থ সভ্যতার প্রকাশ করে - যেখানে বিশ্বাসের পবিত্রতা প্রতিস্থাপিত হয়েছে ক্ষমতার রোমাঞ্চে।

ভারতে দক্ষিণপন্থি হিন্দুরা তাদের সাংস্কৃতিক প্রতীককে এখন সামাজিক-রাজনৈতিক যুদ্ধে পরিণত করেছে। চলতি বছরের দীপাবলি উৎসবে তা কল্পনাতীতভাবে ছাড়িয়ে গেছে। দিল্লিতে উদ্যাপিত দিপাবলী’র আতশবাজির সঙ্গে তারা গাজার আকাশে আলোকিত বোমার একটি সমান্তরাল চিত্র তুলে ধরেছে। যা মূলত হিন্দুত্ব ও ইহুদিবাদের মধ্যে গভীর আদর্শ প্রকাশের পাশাপাশি ভারতীয় মুসলমানদের হেয় করার একটি নতুন অপকৌশল।
সম্প্রতি মিডল ইস্ট আই-এ প্রকাশিত এক নিবন্ধে এমন মতামত দিয়েছেন লেখক মোহাম্মদ আকিব।
ভারতের একসময়ের আলো, রঙ এবং ভক্তিময় উৎসবগুলি বর্তমানে পরিণত হয়েছে ভয় দেখানোর দৃশ্যে। মুসলমানদের সাথে করা অন্যায়ের উপর নির্মিত পরিবেশ পরিণত হয়েছে বিশিষ্ট হিন্দু উৎসব আধিপত্যের বার্ষিক প্রদর্শনীতে। যার মাধ্যমে বিশ্বাসের ভাষা প্রতিস্থাপিত হয়েছে ঘৃণার বাগাড়ম্বরে। বছরের পর বছর ধরে আদর্শিক পতনের মাধ্যমে গড়ে ওঠা এই রূপান্তর, ভারতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠদের ধর্মকে পরিণত করেছে রঙ্গমঞ্চে।
এবছর ভারতীয় সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে, অসংখ্য ডানপন্থি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে-এ উৎসবটি উদযাপন করেছেন, গাজার বোমা হামলার সাথে দীপাবলিতে ফুটানো আতশবাজির তুলনা করে।
ভারতীয় এই নৈতিক পতনে যোগ দিয়েছেন সিনেমাটিক সাহসিকতার চলচ্চিত্র নির্মাতা রাম গোপাল ভার্মা। তিনি তার এক্স পোস্টে বলেছেন “ভারতে মাত্র একদিন দীপাবলি এবং গাজায়, প্রতিটি দিন দীপাবলি।
ব্যাপকভাবে শেয়ার করা এমন বিবৃতি মূলত রাজনৈতিক সংস্কৃতির হীনতাকেই তুলে ধরে, যেখানে গণহত্যাকে দেখানো হয়েছে একটি উৎসবের শুভেচ্ছা মাধ্যম। ইন্টারনেট জুড়ে এই রকম বার্তা, মূলত গাজার ধ্বংসকে উপহাস করা আর এর ট্র্যাজেডিকে উদযাপন করা।
গাজাকে এমনভাবে উপস্থাপন, গাজাকে কেবল একটি দূরবর্তী যুদ্ধক্ষেত্র নয়, বরং মুসলিমদের উপর তাদের নিজস্ব কাল্পনিক বিজয় হিসেবে দেখেন হিন্দুত্ববাদীরা। উৎসবকে এতটাই সাম্প্রদায়িকীকরণ করা হয়েছে যে, সহিংসতা বা উত্তেজনা এখন প্রায় প্রত্যাশিত। হোলির সময়, মসজিদগুলিকে রঙের ছিটানো থেকে রক্ষা করার জন্য ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়, রাম নবমীর মিছিলগুলি পরিণত হয় নিয়মিত দাঙ্গায়।
বিশেষ করে কপটতা হল সোশ্যাল মিডিয়ায় এই আচারণগুলিকে ডিজিটাল জগতে ব্যাপকহারে প্রসার করেছে। উৎসবটি তখন আর রাস্তায় শেষ হয় না; এটি স্ক্রিনে, হ্যাশট্যাগ এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে চলতে থাকে। গাজাকে উপহাস করে দীপাবলির মিম, মুসলিম মহিলাদের উপর হামলার হোলির ভিডিও এবং রাম নবমীর রিলগুলি রাস্তার সহিংসতা উদ্যাপন করছে - এগুলি ঘৃণায় মত্ত একটি সমাজের নতুন সাংস্কৃতিক প্রযোজনা।
ভারতের মুসলমানরা দীর্ঘদিন ধরেই গাজার ফিলিস্তিনিদের সাথে গভীর সংহতি প্রকাশ করছে। কিন্তু তাদের এই সহানুভূতি হিন্দু ডানপন্থীদের অস্থির করে তোলে। তাই তারা ভারতীয় মুসলমানদের মানসিকভাবে হয়রানি করার জন্য, গাজাকে উপহাসের প্রতীকে পরিণত করে।
যখন একটি সমাজ বোমা হামলাকে ঐশ্বরিক প্রদর্শনী হিসেবে উদ্যাপন করে, তখন তার উৎসবগুলি ঘৃণার স্লোগানে প্রতিধ্বনিত হয় এবং যখন তার শিল্পীরা মৃতদের উপহাস করে, তখন এটি রাজনৈতিক ক্ষয়ের চেয়ে অনেক বেশি গভীর কিছুর ইঙ্গিত দেয়। এটি একটি অসুস্থ সভ্যতার প্রকাশ করে - যেখানে বিশ্বাসের পবিত্রতা প্রতিস্থাপিত হয়েছে ক্ষমতার রোমাঞ্চে।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কড়া সমালোচনা করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। এসময় তিনি গাজায় মানবিক বিপর্যয়ে নিরাপত্তা পরিষদের নিরব ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ কোনো কাজ করছে না, একদমই না।
১ ঘণ্টা আগে
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে চলমান শান্তি আলোচনার মাঝেই পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় পাক সেনাবাহিনীর পাঁচ সদস্য ও ২৫ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। রোববার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক জোরদারের বিষয়টি নিয়ে ভারত কি কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “তারা আনুষ্ঠানিকভাবে তা করেনি। অবশ্যই, ঐতিহাসিক কারণে কিছু উদ্বেগ তাদের থাকতে পারে, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র একাধিক অংশীদারের সঙ্গে কাজ করতে চায়।”
৫ ঘণ্টা আগে
দোহায় কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ট্রাম্প। আল-উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে তিনি কাতারকে “একজন মহান মিত্র ও আঞ্চলিক শান্তির নির্ভরযোগ্য অংশীদার” বলে প্রশংসা করেন।
৬ ঘণ্টা আগে