তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার মধ্যরাতে সাভারের আশুলিয়ার খাগান এলাকায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার রাত ১২টা থেকে শুরু হয়ে সোমবার ভোর সাড়ে চারটা পর্যন্ত দফায় দফায় চলা এই সংঘর্ষে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এ সময় সিটি ইউনিভার্সিটির বেশ কয়েকটি বাসে আগুন, বিভিন্ন ভবনে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ দুটিসহ আশপাশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় আইনশৃংখলা বাহিনীর কোন তৎপরতা দেখা যায়নি বলে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ।
জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যায় ব্যাচেলর প্যারাডাইস হোস্টেলের সামনে সিটি ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী মোটরসাইকেল থেকে থুথু ফেললে তা ড্যাফোডিলের এক শিক্ষার্থীর গায়ে লাগে। এ ঘটনায় বাকবিতণ্ডা শুরু হলে রাত ৯টার দিকে সিটি ইউনিভার্সিটির কিছু শিক্ষার্থী ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীদের হোস্টেলে হামলা চালায়। এতে হোস্টেলের কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর হয়।
পরে ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লেড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে রাত ১২ টার দিকে ড্যাফোডিলের হাজার খানেক শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে সিটি ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে ঢুকে প্রশাসনিক ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। লুট করা হয় কম্পিউটারসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল। আগুনে পুড়ে যায় তিনটি বাস ও একটি প্রাইভেটকার। ভাঙচুর করা হয় আরো পাঁচটি যানবাহন। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আবাসিক ছাত্রীদের মধ্যে।
সংঘর্ষ চলাকালে একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। দীর্ঘ চার ঘণ্টার এই সংঘর্ষে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এ সময় আইনশৃংখলাবাহিনীর সহায়তা চেয়েও কোন সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা।