সাতক্ষীরার শ্যামনগরে স্থানীয়দের সহায়তায় আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জামসহ সুন্দরবনের দুই জলদস্যুকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের ২নং খেয়াঘাট এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন,খুলনার কয়রা উপজেলার ইমানপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম গাজীর ছেলে বিল্লাল হোসেন (৩৩) এবং দাকোপ উপজেলার জয়নগর গ্রামের মৃত জয়নাল গাজীর ছেলে আযহারুল ওরফে খানজাহান (৩৬)। তাদের কাছ থেকে একটি ট্রিগার, পাইপ, ছোট-বড় ২২টি স্প্রিং, বন্দুকের কার্তুজসহ দেশীয় অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, আটক দুইজনের বিরুদ্ধে কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ ও সোনাডাঙ্গাসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। বিল্লাল পূর্বে সুন্দরবনের কুখ্যাত ‘দাদাভাই বাহিনী’র সক্রিয় সদস্য ছিল। দশ মাস আগে কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক হয়ে কারাগারে যায় এবং সম্প্রতি জামিনে বের হয়ে পুনরায় দস্যু কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, শুক্রবার রাতে কয়রা থানার কাশির খেয়াঘাট দিয়ে কপোতাক্ষ নদ পেরিয়ে শ্যামনগরের গাবুরা খেয়াঘাটে পৌঁছালে সন্দেহভাজন হিসেবে স্থানীয়দের সহায়তায় দু’জনকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তাদের কাছ থেকে অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার আদালতে পাঠানো হবে।
বনজীবীদের দাবি, গত এক বছরে সুন্দরবনে আলিম, দুলাভাইসহ অন্তত তিনটি দস্যুবাহিনী ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আটক বিল্লাল ও আযহারুল পুরানো ‘দাদাভাই বাহিনী’ নাম ব্যবহার করে নতুন করে দস্যুতা শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
তবে আটক আযহারুলের দাবি, বিল্লাল তাকে কাজ দেওয়ার নাম করে ডেকে এনেছিল। অন্যদিকে বিল্লাল জানায়, সে কাজের খোঁজে যশোরে যাচ্ছিল। তবে তাদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম ও ২০ প্যাকেট সিগারেট কেন ছিল,সে বিষয়ে কেউই স্পষ্ট কোনো জবাব দিতে পারেনি।