আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন প্রধানিয়া চাঁদপুর-৫, হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি নির্বাচনি আসনে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
গত ২৯ ডিসেম্বর মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিনে হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন ও হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ রায়হান আরেফীনের কাছে সর্বশেষ মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তিনি। তবে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় তার সঙ্গে উল্লেখযোগ্য কোনো নেতাকর্মী ছিলেন না।
মো. জাকির হোসেন প্রধানিয়া দীর্ঘদিন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসে ব্যাবসা ও রাজনীতি করছেন। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিনি বাংলাদেশে এসে হাজীগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নার্গিস ফুড প্যাভিলিয়ন নামে রেস্টুরেন্ট ব্যাবসা শুরু করেন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৫ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নিজেকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঘোষণা দেন। কিন্তু পরে দলের হাই-কমান্ড তাকে এ আসনে মনোনয়ন দেননি। এরপর তিনি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রমের সাথে যুক্ত থেকে রাজনৈতিক কার্যক্রম ও ব্যবসা পরিচালনা করেন।
৫ আগস্টের পর ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায় হওয়ার পর তিনি বাংলাদেশ ইউনাইটেড পার্টি (বিইউপি) নামে নিজেকে দলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দল নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছেন বলে জানান। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তার দলের নিবন্ধন দেননি। এমনকি আবেদনের প্রাপ্তি স্বীকারও করেননি বলে তিনি জানান।
এরপর জাতীয় প্রেসক্লাবে তিনিসহ অল্পকিছু লোকজন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ ইউনাইটেড পার্টি (বিইউপি) আত্মপ্রকাশ ঘোষণা করেন। এবং ৩১ অক্টেবর, ২০২৫ইং হাজীগঞ্জ বাজারের তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নারগিস ফুড প্যাভিলিয়নে হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের আমন্ত্রণ করে এনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তার নতুন দলের উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনা বর্ণনা করেন।
সর্বশেষ ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ সমর্থিত একটি রাজনৈতিক প্লাটফর্ম থেকে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করলেও, নির্ধারিত তারিখে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। তার এই ধরনের নাটকীয়তায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এসব বিষয়ে মো. জাকির হোসেন প্রধানিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একসময় আমি আওয়ামীলীগ করতাম। এখন আর করিনা। কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য এবং গ্রাম পর্যায় থেকে পার্লামেন্ট সদস্য সৃষ্টি করার লক্ষ্যে আমি নতুন দল গঠন করেছি। জাতীয় পার্টির একাংশ থেকে দলীয় মনোনয়নের সংগ্রহের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে বলেন, যেহেতু আমার দল এখনো নিবন্ধন হয়নি, সেহেতু আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছি।