হোম > সারা দেশ > রাজশাহী

আ.লীগের পদে সরকারি কলেজের শিক্ষক মেসবাহ উদ্দীন

উপজেলা প্রতিনিধি, গোদাগাড়ী (রাজশাহী)

রাজশাহীর গোদাগাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজ সরকারি হয়েছে ২০১৮ সালেই। চাকরিবিধি অনুযায়ী, সরকারি চাকরিজীবীরা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারেন না। অথচ প্রতিষ্ঠানটির স্কুল শাখার গণিতের শিক্ষক মেসবাহ উদ্দীন আহমেদ সিয়াম রয়েছেন দলীয় পদে।

তিনি বর্তমানে গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালেই মেসবাহ উদ্দীন প্রকাশ্যে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতেন। এখনো তিনি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জার গ্রুপে যুক্ত থেকে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এলাকায় থেকেও তিনি দলের সাংগঠনিক কর্মকান্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই মেসবাহ উদ্দীন আহমেদ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ২০২৩ সালের ৯ অক্টোবর উপজেলা আওয়ামী লীগ গোদাগাড়ী পৌর কমিটির অনুমোদন দেয়। ৬৯ সদস্যবিশিষ্ট ওই কমিটিতে দপ্তর সম্পাদক হিসেবে নাম রয়েছে গোদাগাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মেসবাহ উদ্দীন আহমেদ সিয়ামের। যাচাই করে দেখা গেছে, কমিটিতে উল্লেখিত বাবার নাম ও মোবাইল নম্বরও তাঁর সঙ্গে মিলে গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের নির্বাচনি প্রচারে অংশ নেন। এছাড়া সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরীর পক্ষে প্রচার চালান। এসব প্রচারণায় দলীয় নেতাদের সঙ্গে তাঁর একাধিক ছবিও পাওয়া গেছে।

এলাকার কয়েকজন শিক্ষক জানান, ২০১৮ সালের (দিনের ভোট রাতে) নির্বাচনের আগে সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী শিক্ষকদের নিয়ে একটি পিকনিকের আয়োজন করেছিলেন। সেখানে তিনি নৌকার পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দেন। অভিযোগ রয়েছে, ওই পিকনিকে অংশ নিতে শিক্ষকদের ওপর চাপ প্রয়োগ করেছিলেন মেসবাহ উদ্দীন আহমেদ সিয়াম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরাসরি বিপক্ষে আবস্থান নিয়েছিলেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

স্থানীয়রা আরও জানান, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কিছু দিন আত্মগোপনে ছিলেন মেসবাহ উদ্দীন। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার স্কুলে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অনলাইন গ্রুপে সক্রিয় রয়েছেন। সেসব গ্রুপে দেশের বাইরে থেকে পলাতক সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী নির্দেশনা দেন, আর মেসবাহ তা বাস্তবায়নের কাজ করেন।

বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর ২৯ নম্বর বিধিতে স্পষ্ট বলা আছে কোনো সরকারি কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে পারবেন না, রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না বা রাজনৈতিক মত প্রচার করতে পারবেন না। কিন্তু শিক্ষক মেসবাহ উদ্দীন আহমেদ সিয়াম এসব বিধান মানছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি ২০১২ সালের আগে আওয়ামী লীগ করতাম। ২০১৮ সালে কলেজটি সরকারি হওয়ার পর থেকে আমি আর রাজনীতিতে জড়িত নই।’

২০২৩ সালের অনুমোদিত কমিটিতে নিজের নাম থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রথমে বলেন, ‘এটি হয়তো এডিট করে করা হতে পারে।’ পরে আবার বলেন, ‘ভুলবশত আমাকে কমিটিতে রাখা হয়েছিল, আমি পদত্যাগ করেছি।’ তবে পদত্যাগপত্রের কপি চাইলে তিনি তা দিতে চাননি।

গোদাগাড়ী সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘এটি আমার জানা ছিল না। বিষয়টি তদন্ত করে দেখব। সত্যতা পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

অন্তত ২৭ পদ দখল: বিএনপি নয়, এ যেন আ.লীগের কমিটি

তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত শতাধিক

জুলাই আন্দোলনে গলায় স্প্লিন্টারে আহত সালাউদ্দিনের মৃত্যু

‘মঞ্চে ছাত্রলীগ-জামায়াত’-নিয়ে সারজিসকে প্রশ্ন, বাগ্বিতণ্ডা-হট্টগোল

রগকাটার অভিযোগ প্রথম আলো-ডেইলি স্টারের অপপ্রচার: শিবির সেক্রেটারি

শাপলা প্রতীক আমরা অবশ্যই পাবো: সারজিস আলম

চার জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি

পদ্মার চরে সংঘর্ষ, গুলিতে নিহত ২ আহত ৩

আমার দেশের প্রতিনিধি মহব্বত হোসেনকে হত্যার হুমকি

অষ্টম বিয়ের খায়েশে সপ্তম স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ