আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টায় মারা গেছেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, যশোর শহরের নীলগঞ্জ মহাশ্মশানে বিকেলে তার শেষকৃত্য হবে। তিনি দুই ছেলে ও দুই মেয়েসহ অনেক অনুসারী রেখে গেছেন।
১৯৪০ সালের ১ মার্চ যশোরের মণিরামপুরের পাড়ালা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন পীযূষকান্তি ভট্টাচার্য। তার বাবার নাম সুধীর ভট্টাচার্য ও মায়ের নাম ঊষারানী ভট্টাচার্য।
তিনি যশোরের খাজুরা এমএন মিত্র বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও এমএম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। ১৯৬১ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও ১৯৬৮ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। মণিরামপুরের মশিয়াহাটি হাইস্কুল, গোপালপুর হাইস্কুল ও কেশবপুর ডিগ্রি কলেজে শিক্ষকতা করেছেন পীযূষ। তিনি মণিরামপুর ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষও ছিলেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের একজন সংগঠক ছিলেন পীযূষ কান্তি। ১৯৭৩ সালে যশোরের মণিরামপুর সংসদীয় আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে শেখ হাসিনার শাসনামলে তাকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য করা হয়।
তার ভাই স্বপন ভট্টাচার্য্য যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনের সংসদ সদস্য এবং হাসিনা সরকারের সমবায় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ভাইপো লেখক ভট্টাচার্য্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর ভাই-ভাইপোরা আত্মগোপনে গেলেও পীযূষ কান্তি বাড়িতেই থাকতেন।