চট্টগ্রামের আনোয়ারার অবৈধ বালু সম্রাট শ্রমিকলীগ নেতা বালু আব্বাস এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছেন তার অবৈধ বালুর ব্যাবসা। অপারেশান ডেভিল হান্ট প্রথম পর্যায় শেষ হয়ে দ্বিতীয় পর্যায় চলছে। তারপরও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন এই শ্রমিকলীগ নেতা।
প্রশাসন ও বিএনপি-জামায়াত নেতাদের ম্যানেজ করে প্রকাশ্যে চালু রেখেছেন তার অবৈধ বালুর ব্যবসা। সম্প্রতি ৬৫ লক্ষ টাকা দিয়ে কিনেছেন নতুন আরো একটি ড্রেজার। আগের রয়েছে কোটি টাকা মূল্যের বেশ কয়েকটি ড্রেজার।
আনোয়ারার জুঁইদন্ডী ইউনিয়নে শঙ্খ নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করত আব্বাস। ফ্যাসিবাদের সময় বালু আব্বাসের দাপটে কেউ মুখ খুলতে পারত না। ভূমিমন্ত্রী জাবেদ ও তার এপিএস সায়েমের প্রভাব খাটিয়ে চলত অবৈধ এই বালুর ব্যবসা। ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায়ের পরও এতটুকুই কমেনি আব্বাসের অবৈধ বালুর ব্যবসা।
শ্রমিকলীগ নেতা বালু আব্বাসকে গ্রেফতার না করায় প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জুঁইদন্ডী এলাকার বয়োবৃদ্ধ নুর আহমদ বলেন, অবৈধ বালুর ড্রাম্প ট্রাকের বেপরোয়া চলাচলে ধুলাবালি উড়তে থাকে। বয়স্ক ও শিশুদের শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগবালাই হচ্ছে।
জুঁইদন্ডী গোদারগোড়া এলাকার ব্যবসায়ী শাহ আলম বলেন, আব্বাস আগে দাপট দেখাত আওয়ামী লীগের সরকার পরিবর্তন হলেও তার ব্যবসা এবং দাপট কোনোটাই কমেনি। প্রশাসন ও স্থানীয় বিএনপি-জামায়াত নেতাদের ম্যানেজ করে চলছে বালুর ব্যবসা।
আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুনায়েত চৌধুরী জানান, শ্রমিকলীগ নেতা আব্বাসের বিষয়ে পুলিশের নজরদারি রয়েছে। তাকে যেকোন সময় গ্রেফতার করা হবে।