গাজীপুরের টঙ্গীতে তিতাস গ্যাসের চার ইঞ্চি বিতরণ লাইনে সরবরাহ বন্ধ থাকায় তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে এসংকট দেখা দেয়ায় এলাকার গৃহিণীরা পড়েছেন বেকায়দায়। বিনা নোটিশে গ্যাস বন্ধ করে দেয়ায় পশ্চিম থানা এলাকার মিলগেট, দেওড়া, আউচপাড়া, খাঁ-পাড়া, পরানমণ্ডলেরটেক, গুশুলিয়া, গুটিয়া, বাকরাল, ফকির মার্কেট, কলেজগেট, খাঁপাড়া, তিলারগাতি, সাতাইশ, গাজীপুরা, মুদাফা, ভাদাম, মধুমিতা, টঙ্গীবাজার এলাকায় গ্যাস পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। এতে এলাকার খাবার হোটেলগুলোতে ভিড় লক্ষ করা গেছে।
জানা গেছে, টঙ্গীবাজার সেনাকল্যাণ কমপ্লেক্সের পাশে হোন্ডা রোডে বৃহস্পতিবার ১০টার দিকে লিকেজ থেকে ৪ ইঞ্চি বিতরণ লাইনে আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে টঙ্গী তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ পাইপ লাইন মেরামতের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে সংশ্লিষ্ট লাইনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এতে পুরো টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকা ও পূর্ব থানার আংশিক এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন বাসিন্দারা। অনেককে দেখা গেছে মাটির চুলায় রান্নার কাজ সারতে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, পুরো টঙ্গীতে গ্যাস সরবরাহ লাইনে শত শত লিকেজ থাকায় আমরা পুরোপুরি গ্যাসের চাপ পাচ্ছি না। উত্তর আউচপাড়া খাঁপাড়া এলাকায় কেবল এক কিলোমিটার গ্যাস পাইপ লাইনের মধ্যে অন্তত ৬০-৭০টি লিকেজ রয়েছে। বারবার তিতাস কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও রহস্যজনক কারণে লিকেজ মেরামত করা হচ্ছে না। এছাড়াও টঙ্গী পূর্ব এবং পশ্চিম থানার প্রতিটি ওয়ার্ডের গ্যাস পাইপ লাইনে শত শত লিকেজ রয়েছে। এতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
এ ব্যাপারে টঙ্গী মুদাফা এলাকার বাসিন্দা সেলিম কাজল বলেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে আমাদের এখানে তিতাস লাইনে গ্যাস নেই। বাধ্য হয়ে বিকল্প উপায়ে রান্নার কাজ সারতে হচ্ছে। টঙ্গী বড় দেওড়া হাজী বাড়ি এলাকার গৃহিণী পানসি বেগম বলেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে চুলায় গ্যাস নেই, তাই রান্নাবান্না বন্ধ রয়েছে।
টঙ্গী মধুমিতা রোড এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহিম খান কালা বলেন, রাত থেকে চুলায় গ্যাস নেই। তাই হোটেল থেকে খাবার কিনে খেতে হচ্ছে।
দেওড়ার আবু সামা ও কলেজগেট এলাকার মামুন মিয়া জানালেন, বাসায় চুলায় গ্যাস নেই, তাই পরোটা-ভাজির জন্য লাইনে অপেক্ষা করছি।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা করা হলে টঙ্গী তিতাস গ্যাস বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মেজবাহ উর রহমান বলেন, টঙ্গীবাজার হোন্ডা রোডে ৪ ইঞ্চি বিতরণ লাইনে বৃহস্পতিবার রাতে লিকেজ থেকে আগুন ধরে যাওয়ায় ওই লাইনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মেরামতের কাজ চলছে। বিকালের মধ্যে মেরামতের কাজ শেষ হলে গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে।