যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি শাহারুল ইসলামকে ধরে পুলিশের দিয়েছে জনতা। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর শিশুমেলা এলাকায় আটককারীদের কাছ থেকে শাহারুলকে হেফাজতে নেয় শেরে-ই বাংলা থানা পুলিশ।
শাহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে একই দিন যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করে পুলিশ। অভিযোগ, যুবলীগের মিছিল করার জন্য তিনি সহযোগীদের সঙ্গে গোপনে ব্যানার তৈরি করেন। এ অভিযোগে একজন সাংবাদিক ও সংশ্লিষ্ট ছাপাখানার মালিককেও গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলখানায় পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা পুলিশকে জানিয়েছেন, সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরার সময় তারা শাহারুল নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে, আটক ব্যক্তি যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলাম।
শেরে-ই বাংলা নগর থানার অফিসার ইনচার্জ ইমামুল হক বলেন, হঠাৎ খবর আসে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন সন্দেহে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। পরে আমাদের টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে হেফাজতে নেয়। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আহসান হাবীব বলেন, আমরা কিছু সময় আগে এ খবর পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট থানা আমাদের জানিয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে নতুন মামলা হবে কি-না বা যশোরে বৃহস্পতিবার রুজু হওয়া মামলায় তাকে আটক দেখানো হবে কি-না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
শাহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে হত্যাসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। আওয়ামী লীগ শাসনামলে তিনি বলপূর্বক আরবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হয়ে স্থানীয়দের ওপর ব্যাপক নিপীড়ন চালান বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগে হাসিনা সরকারের সময়ও তিনি একাধিকবার গ্রেপ্তার হন। ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর তিনি গা ঢাকা দেন। অজ্ঞাত স্থান থেকে লাইভে এসে প্রায়ই তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের বিষোদ্গার করতেন।