হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

মুজিবকে ‘আল্লাহর ওলি’ আখ্যা দেয়া সেই আ.লীগ নেতার সঙ্গে বিএনপি প্রার্থীর ছবি ভাইরাল

তীব্র সমালোচনা

জহিরুল ইসলাম, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম)

চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড–পাহাড়তলী–আকবরশাহ) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য ধানের শীষের প্রার্থী কাজী সালাউদ্দিনকে ঘিরে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক চসিক মেয়র এম মনজুর আলমের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ আলাপচারিতার ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে তুমুল সমালোচনার ঝড় বইছে। শুক্রবার দুপুরের পর থেকেই নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এই দৃশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীরা।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, কাজী সালাউদ্দিনের মনোনয়ন নিয়ে তৃণমূলে আগে থেকেই চরম ক্ষোভ ছিল। তার একাধিক বিতর্কিত কর্মকাণ্ড পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করে তুলেছে। ভাইরাল দৃশ্যে দেখা যায়, কাজী সালাউদ্দিন একটি কক্ষে সাবেক চসিক মেয়র ও আওয়ামী রাজনীতির আলোচিত ব্যক্তি এবং সীতাকুণ্ডের সাবেক রাতের ভোটের এমপি দিদারুল আলমের চাচা এম মনজুর আলমের সাথে খোশগল্পে মত্ত। পাশে আরও কয়েকজন নেতা ছিলেন।

জানা গেছে, সম্প্রতি নগরের কাট্টলীতে একটি জানাজায় গেলে মনজুর আলমের অনুরোধে কাজী সালাউদ্দিন তার অফিসে যান। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ আলাপচারিতা হয়। এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে দলের ভেতরে অস্বস্তি ছড়িয়ে পড়ে।

২০১০ সালে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে কমলা প্রতীকে চসিক মেয়র নির্বাচিত হলেও পরে বারবার আওয়ামী লীগমুখী প্রবণতা এবং সুবিধাবাদী রাজনীতির কারণে মনজুর আলম দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত।

তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি পলাতক ফ্যাসিস্ট হাসিনার ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে এমন অভিযোগ রয়েছে। ২০২২ সালের ১৯ অক্টোবর হালিশহরের সাগরপাড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি দখল করে শেখ রাসেলের নামে স্টেডিয়াম নির্মাণ এবং সেটি শেখ হাসিনার মাধ্যমে উদ্বোধন করানো নিয়ে তিনি তুমুল সমালোচনায় পড়েন।

রাজনৈতিক অবস্থান পাল্টানো, পরিবারকে ‘আওয়ামী পরিবার’ ঘোষণা করা, এমনকি শেখ মুজিবকে “আল্লাহর ওলি” আখ্যা দেওয়া— এসব মন্তব্য তাকে আরও বিতর্কিত করেছে।

এমন এক বিতর্কিত আওয়ামী লীগের নেতার সঙ্গে বিএনপির ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী কাজী সালাউদ্দিনের আড্ডাসভার ছবি ভাইরাল হওয়ায় দলের তৃণমূলে চরম ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

সীতাকুণ্ড পৌরসভা বিএনপির সদস্যসচিব ছালে আহাম্মদ সওদাগর আমার দেশকে বলেন, কাজী সালাউদ্দিন সীতাকুণ্ডে প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু করেছেন। পৌরসভা ছাত্রদল ও বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি ভেঙে দিয়ে এবং ত্যাগী নেতাদের একের পর এক বহিষ্কার করে তিনি সংগঠনকে অস্থিতিশীল করে তুলেছেন। আওয়ামী লীগের সঙ্গে কাজী সালাউদ্দিনের আঁতাত রয়েছে বলেই ১৭ বছরে তিনি একদিনও গ্রেপ্তার হননি।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মো. মোরসালিন আমার দেশকে বলেন, শেখ মুজিবকে ‘আল্লাহর ওলি’ আখ্যা দেওয়া সাবেক চসিক মেয়র এম মনজুর আলমের মতো ব্যক্তির অফিসে কাজী সালাউদ্দিন বসে চা খেতে দেখা জনগণকে বিস্মিত করেছে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাদের ব্যবসা বাণিজ্য কাজী সালাউদ্দিন নিয়ন্ত্রণ করেন এমন অভিযোগও করেন তিনি।

বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস মিয়া আমার দেশকে বলেন, ধানের শীষের একজন সম্ভাব্য প্রার্থী হয়ে আওয়ামী লীগের অফিসে গিয়ে গল্প করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে গত ২২ নভেম্বর উপজেলা বিএনপির জরুরি সভায় ২৮ জন নেতা লিখিত রেজুলেশন দিয়ে কাজী সালাউদ্দিনের ভাই ও উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, দলীয় গঠনতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ড ও দলীয় ফান্ড আত্মসাতের অভিযোগ তুলে তাকে দলীয় সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ক্ষোভের প্রকাশ করে আমার দেশকে বলেন, সীতাকুণ্ডে বিএনপিকে জেতাতে হলে কাজী সালাউদ্দিনকে পরিবর্তন ছাড়া উপায় নেই। কাজী সালাউদ্দিনের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে অধ্যাপক আসলাম চৌধুরীকে চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন দেওয়া হলে আগামী ভোট যুদ্ধে বিএনপি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। তাহলে শিল্পাঞ্চল সীতাকুণ্ডের আসনটি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উপহার দেওয়া যাবে।

বিয়ের বৈঠকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে খুন

সেই ওসি এখন জামায়াত কর্মী হত্যার আসামি

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সারা দেশে মসজিদে মসজিদে বিশেষ দোয়া

সাত বছর ধরে বন্ধ চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণগ্রন্থাগার

শাজাহানপুরে জেলা প্রশাসনের দুই কর্মচারীর প্রকাশ্যে ঘুষ কাণ্ড

মানুষ আলেমদের মহব্বত করলেও তাদের ভোট দেন না: ধর্ম উপদেষ্টা

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় হতদরিদ্র মানুষের মাঝে ছাত্রদল নেতা সাইফের খাবার বিতরণ

অবশেষে ভারত গেলেন অন্তঃসত্ত্বা সোনালি খাতুন ও তার ছেলে

কোনো ষড়যন্ত্রই ছাত্র-যুবকদের অগ্রযাত্রা থামাতে পারবে না: জাহিদুল ইসলাম

১১ লাখ টাকা নিয়েও পদ না দেওয়ার অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে