ইনকিলাব মঞ্চের আহবায়ক শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে উত্তাল হয়ে উঠেছে বরিশাল নগরীসহপুরো দক্ষিণাঞ্চল। হাদির মৃত্যুর পর দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার সকাল থেকে বরিশাল নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা। শুধু বরিশাল নগরীই নয় জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ঝালকাঠীসহ বিভাগজুরে পালিত হচ্ছে নানা কর্মসূচি।
এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার সকালে ছাত্র-জনতা বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদের কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালের সামনের সড়কে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। পরে মহাসড়কের ওপর ছাত্র-জনতা জুমার নামাজ আদায় শেষে হাদির রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া-মোনাজাত করেন।
এ সময় পুরো এলাকার সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। জুম্মার নামাজ আদায় শেষে বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বিকেলে নগরীর সদর রোডে বিক্ষোভ মিছিল করে এনসিপিসহ ছাত্রজনতা।
মিছিলটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে টাউন হলের সামনে এসে শেষ হয়। এ সময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে হাদির খুনিদের গ্রেপ্তার করে অইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
এরপূর্বে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। অপরদিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালের সামনে মহাসড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন সরকারি বজ্রমোহন (বিএম) কলেজের শিক্ষার্থীরা। মহাসড়কের চৌমাথা এলাকায়ও একই কর্মসূচি পালন করা হয়।
আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এছাড়া বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার রাত বারোটার দিকে বিভাগীয় কমিশনারের বাসভবনের সামনের সড়কে এসে অবস্থান নিয়ে শ্লোগানে শ্লোগানে বিপ্লবী শহীদ ওসমান হাদির খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
পরে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজির বাসভবনের সামনে গিয়ে শিক্ষার্থীরা পুনরায় অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন। এ সময় ডিআইজি মো. মঞ্জুর মোর্শেদ আলম বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এ সময় শিক্ষার্থী এবং ছাত্র-জনতার সাথে কথা বলতে গিয়ে ওসমান হাদির নাম মুখে আনতেই ডিআইজি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মো. আল মামুন উল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। সড়ক অবরোধ তুলে নিয়ে মহাসড়ক ত্যাগ করায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।