হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ফেনীতে শোকের ছায়া, পৈতৃক বাড়িতে কুরআন খতম

জেলা প্রতিনিধি, ফেনী

বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া বিরাজ করছে নেমে এসেছে ফেনীতে। মঙ্গলবার সকাল থেকে ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীপুরস্থ বেগম জিয়ার পৈতৃক বাড়ির মসজিদের মাইকে শোক সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে। আসতে শুরু করেন স্বজন ও স্থানীয় মানুষজন। আয়োজন করা হয়েছে তার আত্মার মাগফেরাত কামনায় কোরআন খতমের।

বিএনপি নেতাকর্মীরা বলেন, ফেনীর সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার আত্মার সম্পর্ক ছিল। দলীয় যে কোনো কর্মসূচিতে ফেনীতে এলেই তিনি ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীপুরের মজুমদার বাড়ির পৈতৃক বাড়িতে যেতেন। অভিভাবক হারানোর বেদনায় শোকে কাঁদছে সর্বস্তরের মানুষ। বেগম জিয়ার বাবার বাড়ির দিঘির পাশে বেগম খালেদা জিয়ার নিজ হাতে লাগানো নিম গাছটি, ঘরের ভেতর বসার চেয়ারটি, ছোট্ট সেই খাট কিংবা খাবারের টেবিল সবকিছুতেই যেন লেগে আছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেজা জিয়ার হাতের ছোঁয়া।

খালেদা জিয়ার চাচাতো ভাই শামীম মজুমদার বলেন, এ বাড়ির সঙ্গে তার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। তার মৃত্যুর খবরে সকলে ভেঙে পড়েছে। আমাদের আশা ছিল এবারও তিনি সুস্থ হয়ে আবার এই বাড়ির আঙিনায় পা রাখবেন। কিন্তু সকালের একটি সংবাদে সবকিছু চিরদিনের জন্য ম্লান হয়ে গেছে। বাড়িতে আসলে তিনি বড়দের কে যেমন শ্রদ্ধা করতেন। তেমনি ছোটদেরকে অনেক বেশি আদর করতেন।

জানা গেছে, সবশেষ ২০০৮ সালেও ফেনীর ফুলগাজীতে বাবার বাড়িতে এসে দাদা সালামত আলী মজুমদারের কবর জিয়ারত করে শুরু করেন নির্বাচনি প্রচারণা। খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবরে আজ সেই বাড়িতেই নেমে এসেছে রাজ্যের নীরবতা।

খালেদা জিয়ার চাচাতো ভাই জাহিদ হোসেন মজুমদার বলেন, খালেদা জিয়াকে হারিয়ে আমরা আজ শোকে মুহ্যমান। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের একটা চাবি। নির্মম জেল জুলুমেও তিনি দেশ ছেড়ে যাননি। খালেদা জিয়া ছিলেন এ মাটির সন্তান। তার চলে যাওয়ার অপূরণীয় ক্ষতি জাতি কখনো পোষাতে পারবে না।

তিনি আরো জানান, বাড়ির পাশেই দিঘির মাছ খুব পছন্দ করতেন বেগম জিয়া। ১৯৯১ সালের নির্বাচনের পর হেলিকপ্টার যোগে ফেনীতে আসেন তিনি। তাকে বহন করা হেলিকপ্টারটিকে আধা ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে দিঘির মাছ নিয়ে ঢাকায় ফেরেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও বাড়ির প্রতিটি ধুলি-কণার সঙ্গে মিশে আছে বেগম জিয়ার হাজারো স্মৃতি। বাড়ির পাশে সানবাঁধানো ঘাটে বসে গল্প করতেন ভাইদের সঙ্গে। একজন প্রধানমন্ত্রী হয়েও খুব সাদাসিধে জীবনযাপন করতেন তিনি।

গ্রামের আব্দুল আলিম বলেন, তিনি শুধু আমাদের গর্ব নন, তিনি বাংলাদেশের বাতিঘর ছিলেন। তাকে হারিয়ে আজ পুরো এলাকাবাসী শোকে স্তব্ধ।

নিজ পৈত্রিক নিবাসে জনসাধারণের জন্য বেগম জিয়া নির্মাণ করেছেন মাদরাসা, মসজিদ, স্কুল-কলেজসহ বহু স্থাপনা। বেগম জিয়ার মৃত্যুতে ফুলগাজীসহ ফেনী জেলাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

খালেদা জিয়ার পারিবারিক নাম খালেদা খানম পুতুল। ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিন বোন এবং দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি তৃতীয়। তার দাদা হাজী সালামত আলী, নানা জলপাইগুড়ির তোয়াবুর রহমান। বাবা ইস্কান্দার মজুমদার এবং মা বেগম তৈয়বা মজুমদার। দিনাজপুর শহরের মুদিপাড়ায় তার জন্ম। আদি পৈতৃক নিবাস ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মজুমদার বাড়ি।

খালেদা জিয়া পাঁচ বছর বয়সে দিনাজপুরের মিশন স্কুলে ভর্তি হন। এরপর তিনি দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬০ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। একই বছর তিনি জিয়াউর রহমানকে বিয়ে করেন। এর পর থেকে তিনি খালেদা জিয়া বা বেগম খালেদা জিয়া নামে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি স্বামীর সঙ্গে পশ্চিম পাকিস্তানে বসবাস শুরুর আগে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত দিনাজপুরের সুরেন্দ্রনাথ কলেজে পড়াশোনা করেন।

চাঁদপুরে আসামিকে নির্যাতন, পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের স্তব্ধ সিলেট

তারাগঞ্জে আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার

লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোশতাকুর, সা. সম্পাদক পাবেল

এলডিপির প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়ালেন এনসিপি-জামায়াতের প্রার্থীরা

শৈত্যপ্রবাহে স্থবির জনজীবন, দুর্ভোগে শ্রমজীবী মানুষ

আ.লীগের সাবেক এমপির পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল ছাত্রদলের সাবেক নেতার

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতি অভিভাবকহীন হয়ে পড়লো: ভাসানী জনশক্তি পার্টি

রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গণফ্রন্ট প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

সুনামগঞ্জে খাল পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আদালতে নির্দেশ বাস্তবায়নে সভা