হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

অস্ত্রধারীদের দেখামাত্রই ব্রাশফায়ারের নির্দেশ সিএমপির

ওয়ারলেস বার্তায় কমিশনার হাসিব

চট্টগ্রাম ব্যুরো

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে সম্প্রতি প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী তাণ্ডব ও ধারাবাহিক গুলির ঘটনার পটভূমিতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ নির্দেশ দিয়েছেন, 'অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের প্রতিহতের লক্ষে টহল ও থানা ইউনিটগুলোকে সাবমেশিনগান (এসএমজি) থেকে ব্রাশফায়ার মোডে রাখতে হবে।’

মঙ্গলবার দুপুরে কমিশনারের ওয়ারলেস বার্তায় এ নির্দেশনা সিএমপির সব সদস্যকে জানানো হয় বলে পুলিশ সূত্র নিশ্চিত করেছে।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, নগরে প্রকাশ্যে হত্যাকাণ্ড ও অস্ত্রবাজি রোধে সিএমপি এবার কড়া, প্রতিহিংসাত্মক নয়; কিন্তু অস্ত্রধারী কেউ শহরের ভিতরে ঢুকলেই স্বাধীনভাবে আক্রমণ ঠেকাতে সক্রিয় রেসপন্সের অনুমতি দেওয়া হয়েছে- এটাই কমিশনারের বার্তা। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, এটি নিরস্ত্র জনসাধারণের বিরুদ্ধে নয়; যেখানে অস্ত্র নেই সেখানে এসএমজি ব্যবহার করা হবে না।

গত ৫ নভেম্বর বায়েজিদ-চালিতাতলী এলাকায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর জনসংযোগ সভার সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে তালিকাভুক্ত সরোয়ার হোসেন বাবলা মারা যান এবং এরশাদ উল্লাহ আহত হন। সরোয়ারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অস্ত্র, হত্যাসহ অন্তত ১৫টি মামলা রয়েছে। ওই ঘটনার পর থেকেই নগরে সশস্ত্র তৎপরতা এবং প্রকাশ্যে হত্যার অভিযোগে সাধারণ জনমনে উৎকণ্ঠা বেড়েছে। এসব ঘটনায় মূল অপরাধীদের এখনও ধরে সরকার বা পুলিশ আনতে পারেনি বলে অভিযোগ রয়েছে।

সিএমপির বার্তায় বলা হয়, দেখামাত্র ব্রাশফায়ার নিরস্ত্র জনসাধারণের বিরুদ্ধে নয়- যার হাতে অস্ত্র নেই, তার ওপর তো আর এসএমজি ইউজ করব না, কমিশনার হাসিব বলেছেন। তবে তিনি সতর্ক করেছেন, যারা প্রকাশ্যে জনসম্মুখে মানুষ হত্যা করছে, তাদের প্রতিহত করতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পুলিশ সূত্র আরও জানায়, টহল টিমগুলোকে এসএমজি ছাড়াও শিশা শটগান, দুইটি গ্যাস গান ও টিম ইনচার্জদের নাইন মি‌মি পিস্তল বহন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্থায়ী চেকপোস্টের সংখ্যা সাত থেকে বাড়িয়ে ১৩টি করা হবে এবং পাহাড়ি এলাকা থেকে নগরের মধ্যে অস্ত্র-সামগ্রী আনা ঠেকাতে নজরদারি জোরদার করা হবে।

বার্তায় সিএমপি কমিশনার পুলিশ সদস্যদের দেশী দণ্ডবিধি (৯৬ থেকে ১০৬) অনুসারে আত্মরক্ষার অধিকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং সব নিয়ত দায় কমিশনার নিজেই বহন করবেন বলে জানিয়েছেন। 'আমরা করি চালিতাতলী বায়েজিদে কুখ্যাত সন্ত্রাসী যারা লোক মারল, তাদের ঠেকানোর জন্য। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গুলি করে মেরা ফেলা হবে,' কমিশনারের ভাষ্য সংবাদে উদ্ধৃত।

কী বলছেন পু্লিশ কর্মকর্তারা

বন্দর জোনের এক সহকারী কমিশনার নাম প্রকাশ না করে বলেন, কমিশনার স্যার যেভাবে মাঠে নামার বার্তা দিয়েছেন, তাতে আমরা নতুন উদ্দীপনা পেয়েছি। অনেক সময় আইনি জটিলতার কারণে আমরা দ্বিধায় থাকি, কিন্তু এবার সবাই বুঝেছে—সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোনো ছাড় নেই।”

কোতোয়ালি থানার এক পরিদর্শক বলেন,এসএমজি রেসপন্স মোড মানে বেপরোয়া গুলি নয়, বরং তাৎক্ষণিক প্রতিরোধের সাহস দেওয়া। কমিশনার স্যারের নির্দেশে পুলিশ এখন জানে, আইন মেনে দাঁড়িয়ে লড়তে হবে, ভয় নয়।

ডিবি (উত্তর) বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের কমিশনার বাস্তব পরিস্থিতি অনুধাবন করে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা পুরো ফোর্সের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। আগের মতো আর কেউ ভাববে না, অস্ত্র হাতে নিয়ে শহরে প্রবেশ করা সহজ।

সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, 'দেখামাত্র ব্রাশফায়ার নিরস্ত্র জনসাধারণের জন্য নয়। যার হাতে অস্ত্র নেই, তার ওপর তো আর এসএমজি ইউজ করব না।' 'সন্ত্রাসী, অস্ত্রধারী যারা তাদের জন্য এই নির্দেশনা। আমার এলাকায় ঢুকে প্রকাশ্য দিবালোকে একটা খুন করে গেল (বায়েজিদের চালিতাতলী)। এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে তারা যেন আর সাহস না পায়। এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে চট্টগ্রাম নগরে ঢোকে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। তারা যেন স্বপ্নেও এটি কল্পনা করতে না পারে, সেজন্যই এই ব্যবস্থা,' বলেন তিনি।

ফরিদগঞ্জে দুর্বৃত্তদের গুলিতে বেঙ্গল গ্রুপের এসআর নিহত

নদীপথের কুখ্যাত ডাকাত কিবরিয়া গ্যাংয়ের ৫ সহযোগী গ্রেপ্তার

রুয়েটের ছাত্রলীগ নেতা তাহেরকে পুলিশে সোপর্দ

‘চট্টগ্রামের মানুষ নিশ্চিন্তে ঘুমাক’

আলফাডাঙ্গায় ৪৩ বছর পর সরকারি জায়গা দখল মুক্ত

কিশোরগঞ্জে বিএনপিতে দেড় শতাধিক হিন্দু ধর্মাবলম্বীর যোগদান

গোয়ালন্দে জুটমিলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

পোষ্য কোটা বাতিল করল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

শ্যামনগরে পিস্তলসহ শীর্ষ চোরাকারবারী মামুন কয়াল আটক

হিসাবরক্ষণ দপ্তরে নিজের টাকা তুলতেও দিতে হয় ঘুষ