ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীদের দিয়ে প্রেস ক্লাব গঠনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন আকাশ এবং পৌর যুবদলের সদস্য সচিব ফয়সাল বিন ইউসুফকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১১ সেপ্টেম্বর শনিবার প্রকাশিত কমিটিতে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আতাউর রহমান, ছয়ফুল্লা কান্দি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক রিফাত আবিরসহ সাতজন ছাত্রলীগ কর্মী এবং দুইজন যুবলীগ নেতাকে সদস্য করা হয়। ওই কমিটিতে হারুন আকাশকে সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং ফয়সাল বিন ইউসুফকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। মোট ১৫ সদস্যের এই কমিটির ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে উপজেলা জুড়ে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, কারাবন্দি আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ক্যাপ্টেন তাজের ভাগিনা ‘জনি’র অর্থায়ন এবং বিএনপির কিছু নেতার প্রত্যক্ষ–পরোক্ষ মদদে এ কমিটি গঠিত হয়। অভিযোগ রয়েছে, জনির ছত্রছায়ায় থাকা এসব ব্যক্তি অতীতে সরকারি দফতরে চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায়সহ নানা অপকর্মে জড়িত ছিলেন। এখন তারাই মিডিয়ার উপর কর্তৃত্ব নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে আলোচনা চলছে।
এ নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা বলেন, আমরা এত বছর ফ্যাসিস্ট সরকারের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছি। সেই সরকারের সহযোগীদের সঙ্গে কমিটি করা তো দুরের কথা মেলামেশা করা কিংবা ছবি তোলা ও গুরুতর অপরাধ। বিষয়টি হাইকমান্ডকে জানাব।
জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামন বলেন, বিষয়টি নজরে এসেছে। উপজেলা নেতাদের সঙ্গে কথা বলা হবে।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ বলেন, দলের আদর্শবিরোধী কোনো কাজ বিএনপি সমর্থন করে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ বলেন, আমি নিজেও সাংবাদিক। সাংবাদিকের কোনো দল থাকা উচিত নয়।
পৌর যুবদলের সদস্য ফয়সল বিন সামী বলেন, সাংবাদিক যে কোনো দলের হতে পারে, এতে সমস্যা দেখি না।