ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে এবার গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক অ্যাম্বুলেন্সচালক। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে পৌর এলাকার কালীবাড়ির মোড়ে দুর্বৃত্তদের গুলিবিদ্ধ হন তিন।
গুলিবিদ্ধ সাব্বির হোসেন ওরফে জালাল (২০) উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের শাহবাজপুর গ্রামের হেলাল মিয়ার ছেলে। পরিবারের সঙ্গে নবীনগর পৌর এলাকার মাঝিকাড়া গ্রামে ভাড়া থাকেন তিনি।
এরআগে, ২৪ অক্টোবর রাতে নবীনগর পৌর এলাকার পদ্মপাড়ায় নিজবাড়ির সামনে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের গুলিতে বিএনপি নেতা মফিজুর রহমান মুকুল আহত হন, ১ নভেম্বর উপজেলার বড়িকান্দি গনিশাহ মাজার এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে থোল্লাকান্দি গ্রামের রিফাত বাহিনী এবং নুরজাহানপুর গ্রামের শিপন বাহিনীর মধ্যে গুলাগুলির ঘটনায় শিপন ও ইয়াসিন নামে দুইজন মারা গেছে। আহত হয়েছে নুর আলম ও এমরান হোসেন মাস্টার।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে কালীবাড়ি এলাকায় জমিদারবাড়ির মোড়ে হঠাৎ করেই গোলাগুলি শুরু হয়। এ সময় সাব্বির গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ সাব্বির বলেন, কিছু দিন আগে কথা– কাটাকাটি নিয়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে একটি ঝামেলা হয়েছে, ওই বিষয়টি নিয়ে এলাকার লোকজনের কাছে নালিশ করেছিলাম। অপর পক্ষের লোকজন সালিস মানেনি। আমরা চলে আসার সময়
ওই পক্ষের লোকজন গুলি করে। শুনেছি এরা পাশের নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার মির্জাচরের বাশগাড়ি এলাকা থেকে এসেছে, তবে তারা কারা চিনতে পারিনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় গুলিবিদ্ধ হয়ে জরুরি বিভাগে আসা ওই যুবকের বুকের বাম পাশের পাঁজরে এটা ছিদ্র দেখা গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম আমার দেশকে জানান, ঘটনাস্থল থেকে তিনটি তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়েছে, এঘটনায় রাতেই আহত সাব্বিরের মা বাদী হয়ে নবীনগর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।