আইন, বিচার ও সংসদ-বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার কোনো কারণ দেখছেন না। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টিতে যা যা প্রয়োজন, সরকার তা করবে।’ রোববার সকালে রাজশাহী লিগ্যাল এইড অফিসে বিচারকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের দেশে ১৬-১৭ বছর ধরে নির্বাচন হয় না, ইলেকশনের অভ্যাসটাই হারিয়ে গেছে। অনেক মানুষের বয়স ৩২-৩৪ হয়ে গেছে, কিন্তু জীবনে একবারও ভোট দিতে পারেনি। প্রায় ৫ কোটি মানুষ কখনও ভোট দিতে পারেনি এটা কত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়! আমি যেখানে যাই, পোস্টার দেখতে পাচ্ছি, মানুষের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখতে পাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কার কোনো কারণ দেখি না। রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের ওপর কিংবা আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে কিছু কথা বলে, আবার কিছু মন্তব্য হয়তো আন্তরিকভাবেও আসে। সবকিছু মিলিয়ে অনেকে ভাবেন নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। কিন্তু আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, আমরা সরকারের পক্ষ থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে বদ্ধপরিকর।
আসিফ নজরুল বলেন, নির্বাচন বিলম্বিত করার মতো কোনো ইস্যু নেই। আমরা বিশ্বাস করি, অবশ্যই নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন হবে। কোনো বিকল্প চিন্তা বা নির্বাচন না হলে কী হবে- এই প্রশ্ন আমাদের মাথায় নেই। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টিতে যা যা প্রয়োজন, সরকার তা করবে।
আসামিদের জামিন প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা বলেন, জামিন দেওয়া শুধু বিচারকের ওপর নির্ভর করে না পুলিশ কী রিপোর্ট দিচ্ছে সেটার ওপরও নির্ভর করে। যদি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় বা কণ্ঠ শনাক্ত হয়, তাহলে ব্যতিক্রম হতে পারে। যেখানে জামিন পাওয়ার যোগ্যতা আছে, সেখানে জামিন পাওয়াটা স্বাভাবিক। তবে যারা জামিন পেয়ে একই অপরাধ পুনরায় করতে পারে বা আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করতে পারে, নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য হয়ে সক্রিয় থাকতে পারে—তাদের ক্ষেত্রে আমরা সতর্ক থাকব।
তিনি আরো বলেন, একজন বিচারকের জায়গায় তিনজন বিচারক নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে মামলার চাপ কমে। আদালত সংস্কারে নানান পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, এর সুফল অবশ্যই জনগণ পাবে।