হোম > সারা দেশ > বরিশাল

ডিমওয়ালা ইলিশে সয়লাব বরিশালের মোকাম

এসব মাছ ধরা হয়েছিল নিষেধাজ্ঞার সময়

নিকুঞ্জ বালা পলাশ, বরিশাল

নিষেধাজ্ঞা শেষে গত শনিবার মধ্যরাত থেকেই ইলিশ শিকারে নদীতে নেমেছেন বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের লক্ষাধিক জেলে। দীর্ঘ বিরতির পর জীবনের চাকা ঘোরাতে নদীতে নেমে উচ্ছ্বসিত তারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত রোববার সকাল থেকেই উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে বরিশালের পোর্ট রোডের মৎস্য আড়ত এলাকা। আড়তে আনা হয় প্রচুর ইলিশ। যার বেশিরভাগই ডিমওয়ালা। এখনো এসব ডিমওয়ালা ইলিশে সয়লাব আড়ত। চাহিদার তুলনায় জোগান কম হওয়ায় এসব ইলিশের দাম আকাশচুম্বী। প্রতি কেজি ইলিশ ২২০০ থেকে ২৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন নদ-নদীতে ইলিশ আহরণে গত ৪ অক্টোবর থেকে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা ছিল। ইলিশের প্রজনন নিরাপদ রাখতে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এ সময় ইলিশ ধরা, বিক্রি, পরিবহন ও মজুত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞার সময় বরিশাল মৎস্য বিভাগ, কোস্ট গার্ড, নৌ-পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন ব্যাপক তৎপর ছিল। তবুও নদীতে পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি ইলিশ শিকার। ধারণা করা হচ্ছে, আড়তে আনা ডিমওয়ালা মা ইলিশগুলো নিষেধাজ্ঞার সময় বরিশালের বিভিন্ন নদ-নদী থেকে অবৈধভাবে শিকার করা। এগুলো তারা বিশেষ ব্যবস্থায় সংরক্ষণ করে রেখেছিল। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর রোববার সকাল থেকেই মোকামে ইলিশগুলো আনা হয়। তবে বিগত সময়ের তুলনায় আড়তে নিয়ে আসা ইলিশের আকার ছিল অনেকটা ছোট।

গতকাল বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, এখনো মোকামে ডিমওয়ালা মা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। তবে আকারে এগুলো খুব বেশি বড় নয়।

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিষেধাজ্ঞার পর প্রথম দিনে বরিশালের এই ইলিশ মোকামে প্রায় ৩০০ মণ ইলিশ নিয়ে আসেন জেলেরা। এসব ইলিশ আকারে ছোট এবং ডিমওয়ালা ছিল। এক কেজি ওজনের প্রতিমণ ইলিশ ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ হিসাবে এক কেজির ইলিশের দাম ছিল দুই হাজার ২৫০ টাকা। ৯০০ গ্রাম সাইজের প্রতিমণ ইলিশ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া ছোট আকারের ইলিশ ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

এদিকে নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে বড় সাইজের পাঙ্গাস মাছ। বরিশালের ইলিশ মোকামে প্রতি কেজি পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকায়।

এ বিষয়ে সাইফুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা আমার দেশকে বলেন, নিষেধাজ্ঞা মৌসুমে যেসব ইলিশ শিকার করা হয়েছিল, তা বরফ দিয়ে সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন জেলেরা। সংরক্ষণ করা এসব ইলিশই মোকামে নিয়ে আসা হয়েছে। যে কারণে এসব মাছের গুণগত মান ততটা সন্তোষজনক ছিল না। এরপরও দাম ছিল বেশি।

বরিশাল মৎস্য আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল সিকদার আমার দেশকে জানান, ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও এখনো জেলেরা পুরোমাত্রায় মাছ শিকার শুরু করেননি। তারা কেবল বোট নিয়ে সাগরে গেছেন। তবে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই পুরোপুরি জমে উঠবে এই মোকাম।

তিনি আরো বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর প্রথম দিন রোববার সকালে প্রায় ৩০০ মণ ইলিশ আড়তে আনা হয়েছিল। মূলত শনিবার মধ্যরাত থেকে যারা ইলিশ শিকার করেছেন, তারাই ওই মাছগুলো আনেন।

আগামী সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ব্যাপারে আশাবাদী এনসিপি: হাসনাত

সন্ধ্যা নদীতে নৌকা বাইচ দেখতে লাখো মানুষের ঢল

পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি আড়পাঙ্গাশিয়া ব্রিজের কাজ

নতুন ফ্যাসিস্ট হতে চাইলে একই পরিণতি ভোগ করতে হবে

ডেঙ্গু পরীক্ষার রিপোর্টে জালিয়াতি, বিপাকে ভুক্তভোগী

ববিতে নথি ফাঁসের ঘটনায় উপাচার্যের পিএস অপসারিত

অপসো ফার্মার ৫০০ কর্মচারী একসঙ্গে ছাঁটাই

রাজারচরের ভোটকেন্দ্র পরিবর্তনের দাবি

ইঁদুর মারার ফাঁদে প্রাণ গেল শিশুর

কোরআনভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই হচ্ছে শহীদদের মায়েদের সান্ত্বনা