চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার লালানগর এলাকায় চাঁদনগর গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো ফাঁকা পড়ে রয়েছে । এসব ঘরে আশ্রয় নিচ্ছে অপরাধীরা। ফলে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই আশ্রয়ণ প্রকল্প কোনো কাজে আসছে না।
জানা গেছে, বিগত সরকারের আমলে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার লালানগর এলাকায় চাঁদনগর গ্রামে সরকারি বরাদ্দকৃত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ছয়টি বাড়িতে দলীয়করণের মাধ্যমে বরাদ্দ দেওয়া হয়। ফলে আ.লীগের কর্মী সমর্থকরাই আশ্রয়ণ প্রকল্পের এসব বাড়ি বরাদ্দ পান। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারাও পালিয়ে যায়। এতে করে এক বছর ধরে শূন্য হয়ে পড়ে রয়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো। যেসব ঘর যাদের নামে বরাদ্দ রয়েছে তাদের কেউই ওখানে অবস্থান করছেন না বলে স্থানীয়রা জানান।
সরেজমিনে দেখা যায়, এখানকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ছয়টি বাড়ির মধ্যে দুটি ঘরে দুই পরিবার বসবাসরত রয়েছেন। একজনের বাড়ি চকরিয়ায়, অন্যজন নোয়াখালীতে বলে জানা গেছে।
বসবাসরতরা জানান, আমি দীর্ঘদিন ধরে এখানে থাকতাম। গত এক বছর ধরে এখানে বসবাস করে আসছি। মূলত আমি পঙ্গু, ঘরটি খালি পাওয়ায় স্থানীয়রা আমাকে থাকতে দিয়েছেন। এদিকে, নোয়াখালীর বাসিন্দা ফাহেমা বলেন, এই ঘরের প্রকৃত মালিক আমরা নই। প্রকৃত মালিক আবদুস শুক্কুর। গত চার বছর আগে রাণীরহাট ভূমি অফিসের তহসিলদার একরাম নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে ঘরটি আমাদের দিয়েছেন। খালি থাকা অধিকাংশ ঘরে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলছে তালা। স্থানীয়দের মধ্যে কয়েকজন ভূমিদস্যু মিলে এসব তালা লাগিয়ে রেখেছেন। স্থানীয়রা জানান, প্রকৃত জায়গার মালিকরা দীর্ঘদিন অনুপস্থিতির কারণে ঘরগুলো রাজনৈতিক দল নাম ব্যবহার করে কিছু সন্ত্রাসী আশ্রয় নিয়েছে ।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ফাঁকা পড়ে থাকার বিষয়টি অবগত হয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।