বাঁশখালীতে আগাম টমেটোর বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর বাঁশখালীতে ৩০০ হেক্টর জমিতে টমেটোর চাষ হয়েছে।
কৃষি অফিসের সার্বক্ষণিক তদারকি থাকায় এমন বাম্পার ফলন ফলাতে সক্ষম হয়েছে চাষিরা।
উপজেলার বেশিরভাগ টমেটো উৎপাদিত হয় পশ্চিমাঞ্চল তথা সাগর উপকূলীয় এলাকায়। এসব এলাকা থেকে উৎপাদিত টমেটো আঞ্চলিক চাহিদা পুরন করে জেলা শহরেও রপ্তানি হয়। প্রান্তিক চাষীরা ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় অত্যন্ত খুশি। চাহিদা ও লাভ বিবেচনায় কৃষকেরা টমেটাে চাষের দিকে ঝুঁকছে।
উপজেলার প্রায় প্রত্যেক ইউনিয়নে কমবেশি টমেটো চাষ হলেও গন্ডামারা, বড়ঘোনা , খানখানাবাদ, বাহারছড়া, ছনুয়া, কাথরিয়া, ইউনিয়নে বিশাল এলাকা জুড়ে টমেটো ক্ষেতের দেখা মেলে।
গন্ডামারা টমেটো চাষি আবদুর রহমান বলেন, আমার নিজস্ব জমি নেই, জমি বর্গা নিয়ে ৪০ শতক জমিতে টমেটো চাষ করেছে, আল্লাহর রহমতে প্রচুর ফলন হয়েছে।
টমেটো চাষি নুরুল আলম বলেন, নতুন টমেটো বর্তমানে ১০০-৮০টাকা করে বিক্রি করছি। কৃষি অফিসের সার্বিক পরামর্শে টমেটো চাষ করায় ফলন ভালো হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে ৩০০ হেক্টর জমিতে টমেটো চাষ হয়েছে। দেশজুড়ে বারি-৪,৫,৮, নিউ রুপালী ১, প্রফট আার্লি, বাহুবলী, টিপু সুলতান, দুর্জয়, রোমা ভি এফ, গ্রেট পেলে সহ বিভিন্ন জাতের টমেটোর চাষ হলেও বাঁশখালীতে প্রফিট আর্লি, বারি , বাহুবলী, দুর্জয় জাতের টমেটোর চাষ বেশি হয়।
গন্ডামারা ইউনিয়নের প্রান্তিক টমেটো চাষি জাহাংগীর আলম ও আব্দুল মান্নান এর সাথে কথা বলে জানা যায় , প্রতি কানি (৪০ শতক) টমেটো চাষ করতে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা ব্যয় হয়ে থাকে। মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে টমেটো বিক্রি করে খরচের টাকা উঠে এসেছে। বাকী সময়ের বিক্রির টাকা লভ্যাংশ হিসেবে স্থিতি থাকবে।
একদিন অন্তর ক্ষেতে কীটনাশক ছিটাতে হয়। সার প্রয়োগ করতে হয় সময়মতো। শ্রমিকের মজুরি, সার, কীটনাশক এর দাম বেশি হওয়ায় ব্যয় বেড়েছে।
টমেটো চাষীদের দেয়া তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে প্রফিট আর্লি ও দুর্জয় এই দুই জাতেই ভাল ফলন হয়েছে। প্রথম দিকে প্রতি কেজি টমেটো ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে এখন কেজি প্রতি ১০০-৮০ টাকায় পাইকারি ক্রেতাদের কাছে বিক্রি হচ্ছে।
বাঁশখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র সরকার বলেন, বাঁশখালীতে চলতি মৌসুমে উপজেলা জুড়ে ৩০০ হেক্টর জমিতে টমেটো আবাদ হয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে ৪০-৫০ টন টমেটো উৎপাদিত হবে বলে আশাবাদী। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ থাকায় পর্যাপ্ত ফলন হয়েছে এর ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষকরাও অত্যন্ত খুশি।