চট্টগ্রাম নগরের কদমতলী এলাকায় কম্বলের গোডাউনে আগুন ৩ ঘণ্টা পার হলেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সোমবার দুপুর ২টার দিকে চারতলা ভবনের চতুর্থ তলার ওই গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের প্রথমে ছয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে। পরে আগুনের তীব্রতা বাড়ায় আরো তিনটি ইউনিট যোগ দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ দলও যুক্ত হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের একজন ডিউটি অফিসার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দুপুর ২টার দিকে আমরা খবর পাই। কম্বলের গোডাউনে প্রচুর দাহ্য সামগ্রী থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ছয়টি ইউনিট কাজ করছিল, পরে ইউনিট বাড়ানো হয়েছে। আগুন এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভবনটির চতুর্থ তলায় কম্বল এবং তৃতীয় তলায় জুতার গোডাউন ছিল। ভবনটিতে প্রায় দেড়শ মানুষ কাজ করেন। তবে ঘটনাকালে কেউ উপস্থিত না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
দ্বিতীয় তলায় কর্মরত এক কর্মচারী বলেন, আমরা বাসায় ছিলাম। বাসা থেকে ধোঁয়া দেখে বুঝতে পারি। আমাদের কারখানায় ৬০ জন কাজ করেন। ভাগ্যিস তখন কেউ ছিল না।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, দুপুর ২টার দিকে আগুন লাগে। নয়টি ইউনিট কাজ করছে। ভবনের ভেতরে দাহ্য পণ্য বেশি থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে সময় লাগছে।
আশপাশের ভবনের মালিকরা জানান, এলাকায় মোটর পার্টস, এসি পার্টস, ইলেকট্রিক সামগ্রী, লুব্রিকেন্টস, ছাতা, প্লাস্টিক পাইপ, আচারের গোডাউনসহ নানা ধরনের দাহ্য মালামাল মজুদ থাকে-ফলে আগুন ছড়িয়ে পড়ার বড় আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, হঠাৎ ধোঁয়া বের হতে দেখি। কয়েক মিনিটের মধ্যে আগুন বড় হয়ে যায়। পানি দিয়ে নিভানোর চেষ্টা করলেও কিছুই করতে পারিনি। শ্রমিকরা তখন খাবারের বিরতিতে ছিল।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও অগ্নিকাণ্ডের কারণ তদন্ত করে দেখা হবে।