চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনের বিএনপির প্রার্থী পুনর্বিবেচনার দাবিতে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিকট চিঠি পাঠানো হয়েছে। ওই চিঠিতে সীতাকুণ্ড উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি, আকবর শাহ কর্নেলহাট ও উত্তর পাহাড়তলীসহ পুরো সংসদীয় আসনের ১২০টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ স্বাক্ষর করেছেন বলে জানা গেছে।
গত ১১ নভেম্বর বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে এই চিঠি জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. মোরসালিন। বৃহস্পতিবার রাতে আমার দেশকে তিনি এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মোরসালিন বলেন, সীতাকুণ্ডে সৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাস ঘাম, ত্যাগ ও শহীদের রক্ত নির্মিত। সেই ইতিহাসের রাজপথে নেতৃত্বদানকারী, ত্যাগী ও জনপ্রিয় নেতা অধ্যাপক আসলাম চৌধুরী। তাই তার জনপ্রিয়তা, গ্রহণযোগ্যতা এবং দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অবদান বিবেচনা করে মনোনয়নের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে।
প্রার্থী পুনর্বিবেচনার দাবিতে চিঠিতে যারা স্বাক্ষর করেন—
সীতাকুণ্ড পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক জাকির হোসেন, থানা বিএনপির আহ্বায়ক ডাক্তার কমল কদর, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, সম্পাদক, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, শ্রমিক দলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
তাদের দাবি, সীতাকুণ্ডে দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণিপেশার মানুষের কাছে আসলাম চৌধুরী একজন গ্রহণযোগ্য ও রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামের পরীক্ষিত নেতা। তাকে মনোনয়ন দিলে এ আসনে বিএনপি আরও শক্তিশালী হবে এবং ধানের শীষের পক্ষে ব্যাপক জনসমর্থন তৈরি হবে। তারা বিশ্বাস করেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে সীতাকুণ্ড আসনটি তারেক রহমানকে উপহার দিতে সক্ষম হবে।
পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক জাকির হোসেন বলেন, তৃণমূলের ঘাম, ত্যাগ ও রক্ত বৃথা যাবে না। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে আসলাম চৌধুরী একাধিকবার কারাবরণ করেছেন। সর্বশেষ ২০১৬ সালে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হয়ে একটানা প্রায়ই নয় বছর কারাবরণ করেছেন। তিনি দলের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন।
বিএনপিতে তিনি একজন আপসহীন, সংগ্রামী ও ঈমানদার নেতা। দলের দুঃসময়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বিগত সময়ে দুই দুইবার তিনি সীতাকুন্ড সংসদীয় আসন থেকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ধারের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেছেন। তিনি এলাকায় সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের অন্তরের স্থান করে নিয়েছেন। এই বিশ্বাস থেকেই আমরা আবেদন করেছি। আমরা আশা করি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের তৃণমূলের দাবি বিবেচনায় নেবেন।
থানা বিএনপির আহ্বায়ক ড. কমল কদর বলেন, মাঠের বাস্তবতা এবং সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা বিবেচনা করলে ত্যাগী নেতৃত্বের যথাযথ মূল্যায়ন করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তৃণমূলের নেতৃবৃন্দের এই স্বাক্ষর অভিযান ইতোমধ্যেই সীতাকুণ্ডের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের হৃদয়ের স্পন্দন আলহাজ অধ্যাপক আসলাম চৌধুরী এফসিএ। তৃণমূলের মতামতকে সম্মান দেখিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেই দিকেই তাকিয়ে আছে সীতাকুণ্ডের বিএনপি অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।