মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রায়কে ঘিরে নাশকতা রোধে কঠোর অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সোমবার ভোর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে দেখা গেছে এমন চিত্র। সোমবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কোথাও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দেখা যায়নি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চালক এবং যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কোথাও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দেখা যায়নি । যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে পুলিশের অবস্থান দেখা গেছে । এদিকে ভোরে চৌদ্দগ্রামে একজন জামায়াত নেতার গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
কুমিল্লা আলেখারচর বিশ্বরোড এলাকায় কথা কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রদল নেতা তৌহিদুল ইসলাম বাবুর সাথে। তিনি জানান, হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। সে দেশে গণহত্যা চালিয়েছে। হাজার মানুষ হত্যা করছে। ১৭ বছর মানুষ কথা বলতে পারেনি।
ঢাকা-সায়দাবাদ থেকে বাস চালক সফিকুল ইসলাম কুমিল্লা আলেখারচর বিশ্বরোড এসেছেন। তিনি জানান, কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নির্ভয়ে গাড়ি চালাচ্ছি আমরা । আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যথেষ্ট পরিমাণে দেখেছি মহাসড়কে
আব্দুল মান্নান নামে একজন যাত্রী ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাচ্ছেন । তিনি বলেন, মহাসড়কের কোথাও আওয়ামী লীগের মিছিল চোখে পড়েনি । মহাসড়কে পর্যাপ্ত পুলিশ দেখেছি ।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ভোর থেকে অবস্থান করছেন ময়নামতি হাইওয়ে থানার ইনচার্জ ইকবাল বাহার মজুমদার। তিনি জানান, আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি । এখনো পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে নেই । কোথায় কোন নাশকতা হয়নি।
কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল মালেক আমার দেশকে বলেন, ভোর থেকেই আমরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার মোড়ে মোড়ে চেক পোস্ট বসিয়ে চেক করছি । নাশকতা ঠেকাতেই আমরা কাজ করছি । পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং যান চলাচল স্বাভাবিক ।
কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ সুপার মো. শাহিনুর আলম আমার দেশকে বলেন, কুমিল্লা দাউদকান্দি থেকে ফেনী পর্যন্ত যান চলাচল স্বাভাবিক। পুলিশ সতর্ক অবস্থানে আছে। জেলা পুলিশের সাথে সমন্বয় করে হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কে টহল দিচ্ছে।