হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

উখিয়ার করইবনিয়ায় ইয়াবা লুটকাণ্ডে তোলপাড়

উপজেলা প্রতিনিধি, উখিয়া (কক্সবাজার)

কক্সবাজারের উখিয়ার রাজাপালং-রত্নাপালং ইউনিয়নের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকার করইবনিয়ায় ২০ কার্ড তথা ২ লাখ পিস ইয়াবা লুটের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিছু ইয়াবা কারবারির কাছ থেকে এই ইয়াবা লুট করা হয়। ঘটনার ৭ দিন পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৪ হাজার পিস ইয়াবা পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার দেখিয়েছে।

ঘটনাটি ঘটে গত ১৭ অক্টোবর রাত আনুমানিক ১০টার দিকে। মিয়ানমার সীমান্ত হয়ে করইবনিয়ার আমতল নামক এলাকায় ইয়াবার চালান প্রবেশ করলে স্থানীয় আরেকটি ইয়াবা সিন্ডিকেট অস্ত্রের মুখে সেটি লুট করে নিয়ে যায়। এরপর ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয়রা জানান, এসব ইয়াবার মালিক করইবনিয়া এলাকার আলী আহমদের ছেলে ইকবাল ও নুর হোসেন প্রকাশ বর্মাইয়া চেয়ারম্যান।

ঘটনার পর থেকে এলাকার কিছু নিরীহ মানুষকে সন্দেহ করে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। এর মধ্যে একলাছ নামের এক ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে মারধর করার পর একদিন পর ছেড়ে দেয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, ইকবাল ও নুর হোসেন দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত এলাকায় ইয়াবা কারবারের সঙ্গে জড়িত। তারা এলাকায় ‘ইয়াবা ডন’ হিসেবে পরিচিত। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমল থেকে তারা প্রভাবশালী নেতাদের কাছে ইয়াবা সরবরাহ করে আসছে এবং এখনো দেদার সেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের যুবকদের ভাড়া করে এনে ইয়াবা সরবরাহ করে থাকেন বলেও জানা গেছে৷

গত শনিবার স্থানীয়রা ৪ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে উখিয়া থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ ঘটনাটি পরিত্যক্ত হিসেবে দেখিয়ে অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। তবে এলাকায় প্রশ্ন উঠেছে— প্রকৃত মালিকদের নাম জানা থাকা সত্ত্বেও কেন তাদের নামে মামলা হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবক বলেন, এই ইয়াবা সিন্ডিকেটটি সীমান্তের সবচেয়ে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। ইকবাল ও নুর হোসেন বহু বছর ধরে এই কারবারে জড়িত। কখনো কখনো তারা নিজেদের বিভিন্ন বাহিনীর সোর্স হিসেবেও পরিচয় দেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইকবালের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার স্ত্রী ফোন ধরে ইকবালকে চিনেন না বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

অকপটে স্বীকার করে অপর অভিযুক্ত নুর হোসেন প্রকাশ বর্মাইয়া চেয়ারম্যান বলেন, ইয়াবা লুটের ঘটনা ঘটেছে ঠিকই, তবে সেই ইয়াবা আমার নয়।

উখিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, শনিবার পরিত্যক্ত অবস্থায় ৪ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। ইয়াবা লুটের কোনো তথ্য আমাদের জানা নেই। তবে এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ছাত্রলীগ-যুবলীগ থেকে যুবদলে, একপক্ষের গুলিতে আরেকপক্ষের সাজ্জাত নিহত

বাঁশখালীতে সেনা ও র‍্যাবের অভিযান, অস্ত্রসহ আটক ২

তিন আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৩ ডাকাত আটক

ফেনীতে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে প্রকৌশলীকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ

চট্টগ্রামে ট্রাক-ট্রেন সংঘর্ষে নিরাপত্তা প্রহরী নিহত

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ট্রাকের পেছনে দুই বাসের ধাক্কা, আহত ২০

হারভেস্টার মেশিন বিতরণে সরকারি ভর্তুকির কোটি টাকা লোপাট ‎ ‎

হাতিয়ায় অজ্ঞান করে স্বর্ণসহ ২০ লাখ টাকার মালামাল লুট

সাইলেন্সারযুক্ত অস্ত্রে ছাত্রদল নেতাকে হত্যা, অশ্রুসিক্ত বাবার আর্তনাদ

শিক্ষক সংখ্যায় শীর্ষ ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তলানিতে কুবি