কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ডাকাতিয়া নদীর খনন কাজের অংশ হিসেবে ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলনের ফলে বসতবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছ সাতবাড়িয়া গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা। দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও কোন রকম আশার বাণী পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা। এ নিয়ে উপজেলা, জেলা ও সেনাবাহিনীর কাছে গিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলোচনার সমাধান করা হবে বলে সবাইকে ডেকে এনে আবারো নতুন তারিখ ধার্য করে তাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন তারা। এসময় দুই শতাধিক নারী পুরুষ নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করে।
এ বিষয়ে নিজ এলাকা, উপজেলা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি জমা দিলেও এখনো কোন স্থায়ী সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি প্রশাসন।
অভিযোগ করে স্থানীয় বাসিন্দা রুবেল মিয়া বলেন, আমরা সরকারি কাজে কোন বাধা দিব না, আমরা আরো সহযোগিতা করব। তবে নদী খননের নামে যে বালু বিক্রির মহা উৎসব চলছে সেটা হতে পারে না। এলাকার স্থানীয় আওয়ামিলীগ ও বিএনপির নেতারা মিলে এসব করছে। তারা ড্রেজার দিয়ে মাটি কেটে আমাদের ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন করে দিচ্ছে। আমরা চাই ভেকু দিয়ে মাটি কেটে সেই মাটি নদীর দুই পাশে রেখে মানুষ চলাচলের জন্য রাস্তা করে দিক। যাতে আমাদের অন্যান্য জমি ভেঙে না যায় এবং আমরা বসতবাড়ি না হারাই।
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিজা আক্তার বিথী বলেন, আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি সম্পর্কে জেনে বলতে হবে।