হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

আগ্রাবাদ আবাসিকে ১৮ বছর ধরে একই চক্রের দখল, অবহেলিত সমিতি

চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ আবাসিক এলাকার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী সংগঠন ‘আগ্রাবাদ রেসিডেন্সিয়াল এরিয়া সোসিও কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন’-আরাসকার কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে চার বছর আগে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর নির্বাচন দেওয়ার কথা থাকলেও বর্তমান কমিটি এখনো সংগঠন পরিচালনা করছে। এতে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন না হওয়ায় অকার্যকর হয়ে পড়ছে সমিতির কার্যক্রম।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত আরাসকা মূলত এলাকার সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে। একসময় নিয়মতান্ত্রিকতা ও উন্নয়নমূলক কাজের জন্য পরিচিতি লাভ করলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঐতিহ্য হারাতে থাকে সংগঠনটি।

গঠনতন্ত্রে শুধুমাত্র স্থানীয় বাসিন্দাদের সদস্য হওয়ার বিধান থাকলেও অভিযোগ আছে-পেছনের কয়েক বছরে আওয়ামী লীগ–সমর্থিত কয়েকজন বিতর্কিত ব্যক্তি প্রভাব খাটিয়ে ভাড়াটিয়াদের সদস্য করে দেন। এতে ধীরে ধীরে স্থানীয়দের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সমিতি চলে যায় ভাড়াটিয়াদের দখলে।

তবে সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আনিসুল ইসলাম শামীম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আদালতের মামলার কারণে নির্বাচন হয়নি। করোনার সময়ও প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। আলতাফ হোসেন বাচ্চুর কোনো প্রভাব নেই। যারা অভিযোগ করছেন-তারা নিয়মিত চাঁদা দেন না।

অভিযোগ রয়েছে, সমিতির উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতি এবং বর্তমানে নিষিদ্ধ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চুর প্রভাবে ২০১৮ সালের পর কমিটিতে সিলেকশনভিত্তিক নেতৃত্ব দেওয়া হয়। পরে ‘পট পরিবর্তন’ হলে আলতাফ বাচ্চু পলাতক হন। স্থানীয়দের দাবি, সভাপতি আব্দুল মান্নান মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক এ.বি.এম. রেজাউল করিমও দীর্ঘদিন ধরে সমিতির অফিসে আসেন না।

মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নির্বাচন তফসিল ঘোষণা হলেও ভোটার তালিকা নিয়ে আপত্তিকে কেন্দ্র করে ভোট বন্ধ হয়ে যায়। গঠনতন্ত্রের ১০১ জন আজীবন সদস্যের তালিকাও প্রকাশ করা হয়। তবে নির্বাচনের দুই দিন আগে মামলা হলে আদালত নির্বাচন স্থগিত করেন।

পরে বাদী-বিবাদীর সমঝোতায় নতুন করে তফসিল আসে। কিন্তু আবারও ৪২১ জনের ভোটার তালিকা নিয়ে দুই প্রার্থী আপত্তি তুললে বিষয়টি আদালতে গড়ায়। স্থানীয়দের অভিযোগ-মৃত ব্যক্তি, বহিরাগত, ঠিকানাবিহীন এমনকি ভাড়াটিয়াদেরও তালিকায় রাখা হয়েছে। বিপরীতে স্থানীয় স্থায়ী বাসিন্দাদের অনেককেই বাদ দেওয়া হয়েছে।

মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির একটি অংশ ও কয়েকজন স্থায়ী বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, একটি চক্র ১৮ বছর ধরে নানা কৌশলে নির্বাচন ঠেকিয়ে ক্ষমতায় বসে আছে। তাদের কোনো জবাবদিহি নেই। ফলে এলাকা অবহেলিত হয়ে পড়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সাবেক নেতা বলেন, বর্তমান কমিটির কয়েকজন সদস্য প্রভাব খাটিয়ে নির্বাচন বন্ধ রাখছেন। তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে সদস্যরা ভয় পান।

স্থায়ী বাসিন্দা আলাউদ্দিন বলেন, ভোটার তালিকা রহস্যজনক। এমন ব্যক্তি তালিকায় আছে যারা বহু বছর আগে ভাড়াটিয়া ছিলেন, এখন কোথায় আছেন কেউ জানে না। মৃত ভোটারও রাখা হয়েছে। আর যে সকল স্থায়ী বাসিন্দা নিয়মিত চাঁদা দেন, অনেকে তাদের নামই রাখেনি। এটি ইচ্ছাকৃত ভুল।

বন্দর চেয়ারম্যানের সঙ্গে নিষ্ফল বৈঠক, স্কপের অবরোধ কর্মসূচি বহাল

রাজনৈতিক দল জান্নাতের টিকেট দিতে পারে না: এ্যানি

পেকুয়ায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে সালাহউদ্দিন আহমদ

৩ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে কম্বলের গোডাউনের আগুন

দুই গাড়ির চাপায় শিশুর হাত বিচ্ছিন্ন

হত্যা মামলায় ৩ দিনের রিমান্ডে ফজলে করিম

চকরিয়ায় রেললাইন থেকে অজ্ঞাত বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার

চট্টগ্রামে ৩ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি কম্বলের গোডাউনের আগুন

পরশুরামে বিজিবির ধাওয়া, খাঁচাবন্দী ৯০টি পাখি ফেলে পালালেন যুবক

মাদককে লাল কার্ড দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের শপথ