কক্সবাজারের উখিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক যুবকের ঘুষির আঘাতে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) মাগরিবের নামাজের পর উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সোনাইছড়ি দিঘীরবিল এলাকায় মসজিদের পাশে একটি দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি একই এলাকার আব্দুর রশীদ মিয়াজির ছেলে ছৈয়দ হোসেন (৬০)।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) মাগরিবের নামাজের পর উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সোনাইছড়ি দিঘীরবিল এলাকায় মসজিদের পাশে একটি দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি একই এলাকার আব্দুর রশীদ মিয়াজির ছেলে ছৈয়দ হোসেন (৬০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা আনুমানিক রাত ৭টার দিকে মাগরিবের নামাজ শেষে চা খাওয়ার উদ্দেশে দোকানে যান ছৈয়দ হোসেন। এ সময় একই গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মো. রিফাত (২০)-এর সঙ্গে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মো. রিফাত ছৈয়দ হোসেনকে ঘুষি মারলে তিনি ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যুবরণ করেন।
নিহত ছৈয়দ হোসেনের স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী মাগরিবের নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। অনেকক্ষণ বাসায় না ফেরায় খোঁজ নিতে গিয়ে দেখি তাকে ঘুষি মেরে ফেলে রাখা হয়েছে। আমি প্রতিবাদ করলে অভিযুক্ত রিফাত আমাকে এবং আমার ছেলেকেও মারধর করে। আমরা এই হত্যার সঠিক বিচার চাই।
জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবুল কালাম বলেন, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে একজন নিরীহ বৃদ্ধকে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমি প্রশাসনের কাছে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই দূর্জয় সরকার বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল করি। প্রাথমিকভাবে এটি ঘুষির আঘাতে মৃত্যুর ঘটনা বলে প্রতীয়মান হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুর আহমেদ বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়েছে। দ্রুত তাকে আইনের আওতায় আনা হবে এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।