হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

ফাঁস হওয়া ওয়ারলেস বার্তা নিয়ে চাপে সিএমপি

চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজের অভ্যন্তরীণ ওয়্যারলেস বার্তা বার বার ফাঁস হয়ে হয়েছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার দুপুরে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এসএমজি ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছিলেন কমিশনার-ওই নির্দেশনাও ঘণ্টাখানেকের মধ্যে মিডিয়াসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

একই ধরনের বার্তা একাধিকবার ফাঁস হওয়ায় সিএমপির অভ্যন্তরে শুরু হয়েছে সন্দেহ ও তোলপাড়। পুলিশের ভেতরেই কেউ যেন ‘তথ্যচোর’ বা ‘লিক নেটওয়ার্ক’-এর অংশ হয়ে কাজ করছে-এমন আশঙ্কায় শুরু হয়েছে গোপন অনুসন্ধান। সদর দপ্তরের নির্দেশে কমিশনারের দপ্তর থেকেই এ তদন্তের তদারকি করা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র।

এর আগে গত ১২ আগস্ট কমিশনারের আরেকটি ওয়্যারলেস নির্দেশনা-'অস্ত্রধারী দেখামাত্র গুলি চালাতে হবে'-সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। ওই বার্তাটি প্রকাশ্যে চলে আসায় বিব্রত অবস্থায় পড়েছিল সিএমপির শীর্ষ কর্মকর্তারা। তখনও অনুসন্ধান শুরু হয়েছিল। পরে বক্তব্য ফাঁস করার অভিযোগে অমি দাশ নামে এক কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অমি দাশ পুলিশের টেলিকম ইউনিটের কনস্টেবল ছিলেন। তিনি প্রেষণে সিএমপির খুলশী থানায় কর্মরত ছিল। এই বিষয়ে পুলিশ কমিশনান হাসিব আজিজ আমার দেশকে বলেন, পুলিশের অভ্যন্তরীণ বার্তা জনসমক্ষে আসা শুধু প্রশাসনিক নয়, এটি নিরাপত্তাগতভাবেও বিপজ্জনক। যারা ইচ্ছাকৃতভাবে এমন বার্তা বাইরে পাঠাচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

কেন ঝুঁকিপূর্ণ এই বার্তা ফাঁস

অভ্যন্তরীণ বার্তা বা নির্দেশ সাধারণত তাৎক্ষণিক অভিযান, নিরাপত্তা কৌশল বা রাজনৈতিক সংবেদনশীল পরিস্থিতিতে পুলিশের প্রতিক্রিয়া নির্ধারণ করে। এই ধরনের বার্তা যদি আগে থেকেই বাইরে চলে যায়, তাহলে অভিযানের দিকনির্দেশনা অপরাধীদের হাতে পৌঁছে যায়। এতে পুলিশ সদস্যদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে, অপরাধীরা সতর্ক হয়ে পালিয়ে যেতে পারে, এমনকি পাল্টা আক্রমণের প্রস্তুতিও নিতে পারে।

শুধু তাই নয়, বার বার এ ধরনের তথ্য ফাঁস হলে বাহিনীর ভেতর বিশ্বাস ও শৃঙ্খলার ওপরও আঘাত লাগে। একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, এমন বার্তা ফাঁসের পর অনেক সদস্য নিজেদের মধ্যে সন্দেহ শুরু করেন।

একজন দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ওয়্যারলেস বার্তা সাধারণত কমিশনার থেকে প্রতিটি জোন, থানা ও টহল টিম পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে। এর বাইরে যাওয়ার মানে হচ্ছে-ভেতরে কেউ সচেতনভাবে রেকর্ড করছে বা সরবরাহ করছে।

সিএমপির এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, এ ধরনের ফাঁস শুধু প্রশাসনিক শৃঙ্খলাভঙ্গ নয়, এটি নিরাপত্তা ঝুঁকিও তৈরি করছে। মাঠে অপারেশন বা টহল চলাকালে কমিশনারের বার্তা ফাঁস হয়ে গেলে অপরাধীরা আগাম প্রস্তুতি নিতে পারে।

সদর দপ্তরের একটি সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অভ্যন্তরে কারা এই বার্তা বাইরে পাঠাচ্ছে, তা শনাক্তে বিশেষ মনিটরিং শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন কর্মকর্তার যোগাযোগের তালিকা ও ডিভাইস ব্যবহারের তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, আমার শহরকে নিরাপদ রাখার দায়িত্ব আমার। যারা এই বার্তা ফাঁস করছে, তারা পুলিশের ভেতরেই অনিরাপত্তা তৈরি করছে। এটা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না।

প্রোগ্রামারের স্বীকারোক্তিতে ফেঁসে যাচ্ছেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক

৪৯তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে গণিতে প্রথম কুবির অলি উল্লাহ

কেপিএম থেকে ১১.১১ কোটি টাকার কাগজ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন

১০ বছর বন্ধ, নোয়াবাজার উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র এখন ভূতুড়ে বাড়ি

ফরিদগঞ্জে দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুলিতে বেঙ্গল টি’র এসআরের মৃত্যু

অস্ত্রধারীদের দেখামাত্রই ব্রাশফায়ারের নির্দেশ সিএমপির

নদীপথের কুখ্যাত ডাকাত কিবরিয়া গ্যাংয়ের ৫ সহযোগী গ্রেপ্তার

‘চট্টগ্রামের মানুষ নিশ্চিন্তে ঘুমাক’

চট্টগ্রাম বন্দরে এক মাস সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা

‘শিল্প লবণের নামে খাবার লবণ আমদানি করতে দেয়া হবে না’