বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে। মঙ্গলবার তার মৃত্যুর খবরে নগরের কোতোয়ালী থানার নাসিমনভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শোক মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি।
দলীয় কার্যালয় ঘিরে সকাল থেকেই শোকাহত নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। হাতে কালো ব্যানার–ফেস্টুন, মাথায় কালো ব্যাজ—সব মিলিয়ে এলাকা জুড়ে নেমে আসে ভারী নীরবতা। খালেদা জিয়ার ছবিসংবলিত পোস্টার বুকে চেপে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। বেলা একটু বাড়তেই নেতাকর্মীরা শোক মিছিল বের করেন।
শোক মিছিলে আসা নগর বিএনপির নেতারা বলেন, খালেদা জিয়া শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা নন, তিনি ছিলেন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মূল প্রতীক। একাধিক সামরিক ও কর্তৃত্ববাদী সময় অতিক্রম করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে তাঁর অবদান যুগান্তকারী বলে উল্লেখ করেন বক্তারা। তারা বলেন, দেশমাতা খালেদা জিয়া এ দেশের রাজনীতিতে সাহস, দৃঢ়তা ও আপসহীনতার প্রতীক ছিলেন। তার মৃত্যুতে জাতি এক বরেণ্য নেত্রীকে হারাল।
তারা অভিযোগ করেন, নানা প্রতিকূলতা, অবরোধ ও দীর্ঘ কারাবন্দী জীবনের মধ্য দিয়েও খালেদা জিয়া দৃঢ়ভাবে গণতন্ত্রের পক্ষে লড়ে গেছেন। তারা আরও বলেন, শেখ হাসিনার সময়ে রাষ্ট্রীয় অবহেলা ও সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ায় তার জীবন সংকট আরও বাড়ে। আজ আমরা একদিকে তার রূহের মাগফেরাত কামনা করছি, অন্যদিকে জাতীয় রাজনীতিতে বড় শূন্যতার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছি।
এদিকে দলীয় সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় বিএনপি শোকসভা, দোয়া মাহফিল ও কালো পতাকা মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও নিজ নিজ উদ্যোগে শোক কর্মসূচি পালন করবেন।
নেতারা বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে খালেদা জিয়ার উপস্থিতি ছিল এক যুগ-নির্ধারণী বাস্তবতা। তাঁর মৃত্যুতে যে শূন্যতা তৈরি হলো, তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।