চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে সেচ প্রকল্পের অভ্যন্তরের কৃষি রক্ষায় স্লুইসগেটের পুরাতন পাম্পের পরিবর্তে নতুন পাম্প স্থাপন, প্রশাসন কর্তৃক চিহ্নিত ১১৫টি খাল খনন, নদী ও খালের বাঁধ অপসারণ ও অবৈধ দখল উচ্ছেদসহ বিরাজমান সংকট নিরসনে গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে সোমবার (২৪ নভেম্বর ২০২৫) সমাবেশ, মিছিল ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে কৃষক সংগ্রাম পরিষদ।
এর আগে ফরিদগঞ্জ প্রেস ক্লাব চত্বরে চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের (সি.আই.পি) অভ্যন্তরে ডাকাতিয়া নদী ও খাল খনন বাস্তবায়নে কৃষক সংগ্রাম কমিটি চাঁদপুর-লক্ষীপুরের আয়োজনে কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর হোসেন দুলালের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক খোরশেদ আলম, আলী আহম্মদ, রহিমা আক্তার কলি, নেছার আহমাদ, নেছার আহাম্মদ দেওয়ান, মমতাজ উদ্দিন সরকার, আলম পাটওয়ারী, আব্দুল ওয়াদুদ, ইউনিয়ন কমিটির মোজাম্মেল পাটওয়ারী, আলী রেজা, আ. রশিদ পাটওয়ারী, মৎস্যজীবী সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম প্রমুখ। সমাবেশ শেষে কৃষকরা ফরিদগঞ্জ বাজারে মিছিল এবং জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন।
বক্তারা বলেন, সরকার খাদ্য ঘাটতি দূর করার, অন্যদিকে কৃষকের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে এবং অধিক ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে চাঁদপুর-লক্ষীপুর জেলার ৬টি উপজেলা নিয়ে নির্মাণ করা হয় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। যা চাঁদপুর সেচ প্রকল্প (সি.আই.পি) নামে পরিচিত। বর্তমানে সিআইপি কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম, দুর্নীতির ফলশ্রুতিতে গোটা প্রকল্প প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। আর বছরের পর বছর এর খেসারত দিতে হয় প্রকল্পের অভ্যন্তরের লক্ষ লক্ষ কৃষক, বর্গা, ইজারা চাষি ও ক্ষেতমজুর ও দিনমজুরদের।
খালসমূহ সংস্কারে বরাদ্দ না পাওয়ায় গত ৩৫ বছর খাল, নদী এবং নতুন পাম্প স্থাপন করা হয়নি। অকেজো পাম্প দিয়ে এই বিশাল কৃষি এলাকায় সেচের পানি সরবরাহ না করতে পারায় বোরো মৌসুমে কৃষক সেচের অভাবে যথাযথ বোরো আবাদ করতে পারছেন না। আমন মৌসুমে জলাবদ্ধতায় ফসল পানির নিচে তলিয়ে বিনষ্ট হয়। যে সেচ প্রকল্প কৃষকের জন্য হওয়ার কথা আশীর্বাদ, তা এখন অভিশাপে পরিণত হয়েছে।
এমতাবস্থায় কৃষি ও কৃষক রক্ষায় সেচ প্রকল্পের চরবাগাদী স্লুইসগেটে পুরাতন পাম্প বদলে ৬টি নতুন পাম্প স্থাপন এবং ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক ১১৫টি খাল খনন, বাঁধ অপসারণ ও অবৈধ দখল উচ্ছেদের দাবি করেন কৃষকরা।