হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

বাবাকে মারধরের অভিযোগ গণঅধিকার পরিষদের এমপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে

গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

উপজেলা প্রতিনিধি, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা)

কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে গণঅধিকার পরিষদ মনোনীত এমপি প্রার্থী কে এম ফরিদ আমিনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেছেন তার বাবা রুহুল আমিন। এ ঘটনায় ছেলের বিরুদ্ধে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছেন তিনি।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ছেলেকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মুন্সিরহাট ইউনিয়নের বাংপাই-যুগিরহাটে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ফরিদ আমিনের বাবা রুহুল আমিন বলেন, আমার ছেলে ফরিদ আমিন আমাকে ৪ ডিসেম্বর শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। এ ঘটনায় আমি চৌদ্দগ্রাম মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছি। জমা দেওয়ার পর থেকে সে আমাকে অভিযোগটি প্রত্যাহার করার জন্য নানাভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। অন্যথায় আমাকে প্রাণে হত্যা করবে। শুনেছি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-১১ চৌদ্দগ্রাম আসন থেকে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করবে। যে ছেলেকে বাবাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে, সে ছেলে কিভাবে জনসেবা করবে?

রুহুল আমিন আরও বলেন, ২০১০ সালের টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার জনৈক আবু রশিদ বাদি হয়ে ব্যাংকের গাড়ি চালক হিসেবে থাকাকালীন ফরিদ আমিনের বিরুদ্ধে টাকা চুরির অভিযোগে মামলা দায়ের করে। পলাতক থাকায় বর্তমানে এ মামলায় তার বিরুদ্ধে সাজা প্রদান করেছেন আদালত। ফরিদ আমিন চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসেও পিতাকে মারধর করেন। এ ঘটনায়ও চৌদ্দগ্রাম থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রায় সময় কেএম ফরিদ আমিন ও তার স্ত্রী নাছরিন আক্তার যোগসাজশে রুহুল আমিনকে মারধর করে। এসব ঘটনায় থানায় এর আগেও একাধিক জিডি ও অভিযোগ রয়েছে। ৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে পরস্পর যোগসাজশে একত্রিত হয়ে কেএম ফরিদ আমিন গং রুহুল আমিনের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করে। এসময় রুহুল আমিনকে বাঁচাতে স্ত্রী ফরিদা বেগম, পাশের আবদুল আহাদ ও মরিয়ম এগিয়ে গেলে তাদেরকেও মারধর করে। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা রুহুল আমিনের ঘর ভাঙচুর করে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার শেষে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়। তাৎক্ষণিক ৯৯৯-এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে থানা পুলিশের একটি টিম। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ বা আদালতে মামলা করলে ভিকটিমদেরকে হত্যা করার হুমকি দেয় কেএম ফরিদ আমিনসহ হামলাকারীরা।

তিনি আরও বলেন, এর আগে দায়েরকৃত অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সাথে অশালীন আচরণ করেছে কেএম ফরিদ আমিন। বিভিন্ন সময়ে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাদের দিয়ে প্রশাসনকে হুমকিও দিতেন তিনি।

তবে গণঅধিকার পরিষদের এমপি প্রার্থী কেএম ফরিদ আমিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, আমার বাবার সাথে কোনো বিরোধ নেই। এর বাইরে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

ফরিদ আমিনের বাবার দায়েরকৃত অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা চৌদ্দগ্রাম মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। শিগগিরই তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- রুহুল আমিনের দ্বিতীয় স্ত্রী ফরিদা বেগম, আত্মীয় হারেছ মিয়া, হাফেজ দ্বীন মোহাম্মদসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

ধর্মকে পুঁজি করে মসজিদে প্রচারণা করছে একটি দল: মানিক

আমার দেশে সংবাদ প্রকাশের পর সেই এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীকে বদলি

রেলওয়ের জায়গা থেকে ১০৭টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

বিএনপির প্রার্থী বাতিলের দাবিতে চার মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংবাদ সম্মেলন

ঠান্ডাজনিত রোগে চমেক হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি ৬২, মৃত্যু ২

ওয়ার্কশপের আড়ালে অস্ত্র তৈরির কারখানা, মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি এসে পড়লো বাংলাদেশির ঘরে

জনতার গণজোয়ারে আগামীতে দেশে ইসলামী সরকার প্রতিষ্ঠা হবে

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দোয়া মাহফিল

বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে তিতাসে বিক্ষোভ মিছিল