কক্সবাজারে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের উলুচামরী ও কোনা পাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিদিনই দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে তুমুল গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। এতে স্থানীয়দের মাঝে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার দিনগত গভীর রাতেও গুলির শব্দে আতঙ্কিত হয়েছেন এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হ্নীলার আনোয়ার ওরফে লেডাইয়া গ্রুপ ও জালাল ওরফে লাশ জালাল গ্রুপের মধ্যে আবারো এই সংঘর্ষ শুরু হয়। এর আগে গত ১৬ অক্টোবর একই এলাকায় দুইপক্ষের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলি চলে।
বিবদমান দুই গ্রুপের প্রধানদের বিরুদ্ধে হত্যা, মাদক, অপহরণ ও ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছেন, উলুচামরীর আনোয়ার ওরফে লেডাইয়া ও কোনারপাড়ার জালাল ওরফে লাশ জালাল এলাকায় আধিপত্য বজায় রাখতে নিজেদের সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলে। দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক গুলির শব্দে পুরো এলাকা কেঁপে উঠছে। ফলে উলুচামরী ও কোনাপাড়ার মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন জানান, আধিপত্য বিস্তার, অপহরণ ও মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের জন্য তারা মিয়ানমার থেকে আনা আধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করছে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। মঙ্গলবার রাতেও প্রায় এক ঘণ্টা ধরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। পুরো এলাকা এখন দুই গ্রুপের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আনোয়ার ও জালাল বাহিনীর তৎপরতা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে, অথচ তারা এলাকায় নির্বিঘ্নে চলাফেরা করছে। দ্রুত তাদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করলে এলাকায় শান্তি ফিরতে পারে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জায়েদ নূর বলেন, হ্নীলার উলুচামরী এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির বিষয়টি স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। যারা এই ঘটনায় জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
এদিকে হ্নীলা ইউনিয়নের আলীখালী, উলুচামরী ও কোনাপাড়া এলাকায় স্থানীয় কিছু মাদককারবারি ক্যাম্পকেন্দ্রিক সুযোগ কাজে লাগিয়ে বড় বড় সন্ত্রাসী গ্রুপ গড়ে তুলেছে। মাদক পাচার, অপহরণ, ডাকাতি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এসব গ্রুপের মধ্যে প্রায়ই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ফলে এলাকাজুড়ে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।