বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সদস্য সচিব সাদেক আহমেদ খান বলেছেন, ‘ডিসি-ইউএনও সাহেবরা গত নয় বছরে যে হারে টাকার বিনিময়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছেন, আপনাদের কিন্তু ক্ষমা নাই।’
শনিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌরসদরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে উপজেলা, পৌর ও ১৪টি ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নবগঠিত কমিটির সদস্যদের পরিচিতি ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘একদিন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) ছিল ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানানোর কারখানা। রাজাকার ঢুকত একদিক দিয়ে, টাকা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হতো।’
তিনি আরো বলেন, সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ৬৩৪টি ভবন আছে। যার প্রত্যেকটা ভবনে আয়ের উৎস আছে। কিন্তু এই সম্পদ দীর্ঘদিন লুটেরাদের হাতে পড়েছিল। তাদের হাত থেকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল অবমুক্ত করতে উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজমসহ আমাদের ১০ মাস সময় লেগেছে। বিভিন্ন জেলায় চিঠি দেয়ার পরও অনেকে এখন পর্যন্ত কমপ্লেক্সের চাবি বুঝিয়ে দেয়নি। যে সমস্ত ডিসিরা ভাল তারা সহজেই চাবি হস্তান্তর করেছে। আর যারা চিহ্নিত অপরাধী, যারা লুটপাট করে গত ১৭ বছর খেয়েছে-কোন হিসাব দিতে পারে না, তারাই সব বুঝিয়ে দিতে বিলম্ব করছে।
কমপ্লেক্স না বুঝিয়ে দেয়া ইউএনওদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা অনেক খেয়েছেন। আর জিভ বড় করবেন না। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পদ বুঝিয়ে দিন।’
মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, চিকিৎসা সহায়তার জন্য আগে যেখানে দু’লাখ টাকা দেয়া হতো এখন সেখানে পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে।
মির্জাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের আহ্বায়ক তাজ উদ্দিন সিকদারের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সদস্য নুরুল ইসলাম, টাঙ্গাইল জেলা কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল খালেক মন্ডল, সদস্য সচিব শেখ হাবিবুর রহমান ও মির্জাপুরের সদস্য সচিব মীর ফজলুল হকসহ অন্যরা বক্তৃতা করেন।