জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চল মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, আমরা শাপলা চেয়েছি শাপলা আমাদের দিতে হবে। শাপলা কিভাবে আদায় করতে হয় সেটা আমরা জানি। এই শাপলা প্রতীক আদায়ের জন্য প্রয়োজনে আমরা আবার মাঠে নামবো।
রোববার সন্ধ্যায় নরসিংদী জেলা এনসিপির আয়োজনে এক সাংগঠনিক সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনকে লক্ষ্য করে তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন এমন একটি দলকে নিবন্ধন দিয়েছেন যাদের মাঠে কোন কাজ নেই, সাংগঠনিক কোন ভিত্তি নেই, কোন নেতাকর্মী নেই ও দলীয় কোন কার্যক্রম নেই। তাদের নিবন্ধন দিয়ে নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে তাদের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য এনসিপি কাজ করে যাবে। আর এজন্যই এনসিপি রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এনসিপি হয় সরকারে থাকবে, নতুবা একটি শক্তিশালী বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে। কোনো লেজুড়বৃত্তি, পোষা, জাতীয় পার্টি মার্কা দল হিসাবে থাকবে না। এনসিপি আগামী সংসদ নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ দল হিসেবে থাকবে। নির্বাচনে কেউ ইচ্ছামতো সিল মারবে, ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নিবে, সেই দিন আর নেই, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। যারা এসব অপকর্ম করবে পেশি শক্তি, অস্ত্র ও অর্থের মহড়া দিবে ব্যালটের মাধ্যমে জনগণ জবাব দেবে। এনসিপি প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশের অন্যায়, অনিয়ম, জুলুম আর নির্যাতনের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে ভবিষ্যতে করে যাবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল্লাহ হায়দার। তিনি বলেন, বাংলা থেকে লক্ষণ সেন যেমন পলায়ন করেছে, তেমনি শেখ হাসিনাও। ফ্যাসিস্টের দোসরদের ‘আপা ফিরে আসার’ দিবাস্বপ্ন না দেখতে অনুরোধ করেন। সেই সাথে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টি স্বাক্ষর করবে না বলেও দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেন।
এনসিপির নরসিংদীর জেলার প্রধান সমন্বয়ক আওলাদ হোসেন জনির সভাপতিত্ব প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম-আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, যুগ্ম মূখ্য সংগঠক আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল, কেন্দ্রীয় সদস্য আব্দুল্লাহিল মামুন নিলয়, সাইফ ইবনে সারোয়ার প্রমুখ।