হোম > সারা দেশ > ঢাকা

অষ্টগ্রামে বাঁশের খুঁটিতে হাইভোল্টেজের বিদ্যুৎ লাইন, ঝুঁকিতে স্থানীয়রা

সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান, অষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ)

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলায় বড় হাওরে বাঁশের খুঁটিতে ৩৩ হাজার ভোল্টেজের বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন দিয়ে চার মাস ধরে চলছে বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজ। হাওরাঞ্চলের অষ্টগ্রাম ও মিঠামইন উপজেলার দুটি স্থানে বাঁশ, কাঠ ও জিআই তারে তৈরি ঝুঁকিপূর্ণ সাতটি বাঁশের খুঁটিতে সরবরাহ করা হচ্ছে বিদ্যুৎ।

এখন পানি নেমে গেছে দ্রুত বাঁশের খুঁটি অপসারণ করে নতুন খুঁটি বসানোর দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। তবে দ্রুত এসব বাঁশের খুঁটি অপসারণের আশ্বাস দিয়েছে মিঠামইন পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস। 

গত বর্ষা মাসে ঝুঁকিপূর্ণ এসব বাঁশের খুঁটি ও বৈদ্যুতিক তার ঘেঁষে প্রতিদিন চলাচল করেছে হাজারো আতঙ্কিত নৌকা ও পর্যটকবাহী ট্রলার। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাওরাঞ্চলে বৈদ্যুতিক খুঁটি (পুল) বর্ষার পানিতে পড়ে গেলে বিকল্প উপায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখতে, বাঁশের অস্থায়ী খুঁটি তৈরি করে, বিদ্যুৎ সেবা চালু রাখে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মিঠামইন জোনাল অফিসের অধীনে অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইন উপজেলার ২৩টি ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। তিন উপজেলায় প্রায় ৮০ হাজারের বেশি পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে।

বর্ষাকালে হাওর এলাকায় পানিতে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটির গোড়ার মাটি নরম থাকে। এতে বর্ষার পানির স্রোত, ঝড়, নৌকা ও ট্রলারের ধাক্কায় অনেক সময় হেলে পড়া বা একেবারে পড়ে যায় বৈদ্যুতিক পিলার। পানিতে ছিঁড়ে পড়ে বৈদ্যুতিক তার। দুর্ঘটনা এড়াতে একাধিক দিন বন্ধ থাকে কয়েক হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ, ভোগান্তিতে পড়ে লাখো মানুষ। 

সময়োপযোগী পরিকল্পনার অভাবে কমছে না ভোগান্তি, বাড়ছে কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সরবরাহ লাইন মেরামত খরচ। হাওরে কর্মরত পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা ও কর্মীরা বৈরী পরিবেশেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে বিকল্প উপায়ে, বিশাল জলরাশির মাঝে বাঁশ কাঠ ও জিআই তার দিয়ে অস্থায়ীভাবে নির্মাণ করে বৈদ্যুতিক পিলার। হাওরের পানি না নামা পর্যন্ত এসব পিলারে ঝুঁকি নিয়ে চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ।

এ বিষয়ে বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্টরা জানান, বড় দুর্ঘটনা এড়াতে দ্রুত হাওরাঞ্চলের যেসব এলাকার বৈদ্যুতিক খুঁটি ছয় মাস পানিতে নিমজ্জিত থাকে, সেই খুঁটিগুলোর নিচে পাঁচ বর্গফুট করে মাফলিং বা পাকাকরণ করা হলে খুঁটি পড়বে না, ঝুঁকি থাকবে না বিদ্যুৎ সরবরাহে, থাকবে না জনদুর্ভোগ।

মিঠামইন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা যায়, ভৌগোলিকভাবেই হাওর এলাকার মাটি ভিন্ন ধাঁচের। এখানে বর্ষা মৌসুমে কোনো খুঁটি ভাঙলে, হেলে গেলে বা পড়ে গেলে নতুন করে পিলার বসানো সম্ভব হয় না। তাই বর্ষার পানি নেমে গেলে এখানে নতুন খুঁটি বসানো হয়। কিন্তু গ্রাহকের কথা চিন্তা করে সংশ্লিষ্ট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বাঁশের পিলার বানিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখে।

হাওরে প্রবল স্রোতের মাঝে নৌকায় থেকে তৈরি করতে হয় এসব বাঁশের পিলার। ১২-১৪ জন শ্রমিক ও টেকনিশিয়ান মিলে কয়েকদিনে তৈরি করা হয় একেকটি পিলার। প্রতিটি অস্থায়ী খুঁটি নির্মাণে খরচ হয় প্রায় ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা। শুষ্ক মৌসুমে বর্ষায় নির্মিত বাঁশের খুঁটির স্থলে, বসানো হয় সিমেন্টের বৈদ্যুতিক খুঁটি। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে কয়েক বছর আগে বিশেষ পরিকল্পনা প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, পল্লী বিদ্যুৎ ঊর্ধ্বতন কার্যালয়ে। তবে কোনো কার্যক্রম এখনো দৃশ্যমান হয়নি।

চলতি বছর আগস্ট মাসে মিঠামইন উপজেলা সদর ইউনিয়নের নবাবপুর হাওরে একটি ও সেপ্টেম্বর মাসে অষ্টগ্রাম উপজেলার বড় হাওরে ছয়টি বাঁশের খুঁটি নির্মাণের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখে মিঠামইন পবিস জোনাল অফিস।এই বিষয়ে মিঠামইন পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের এজিএম (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) মুহাম্মদ নবী উল হোসেন বলেন, হাওরে বর্ষাকালে পুল (খুঁটি) পড়ে গেলে নতুন করে বসানো সম্ভব হয় না। গ্রাহকের সুবিধার্থে, কিছু ঝুঁকি থাকলেও বিকল্প উপায়ে এই বাঁশের খুঁটি দিয়ে, আমরা বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখি। বর্ষা শেষে সরবরাহ লাইন মেরামত করা হয়।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বলতে কিছু নেই : মুফতি আব্দুস সোবাহান

সাভারে জেলিযুক্ত চিংড়ি মাছ ও জাটকা উদ্ধার

টঙ্গীতে মহানগর তাঁতী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

‎ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৪

সুদানে এক মাস না যেতেই সেনাসদস্য জাহাঙ্গীরের বাড়িতে এলো মৃত্যুর খবর

বুড়িগঙ্গায় বাল্কহেডে লঞ্চের ধাক্কা, সাঁতরে প্রাণ বাঁচালেন সুকানীসহ ৫ কর্মচারী

আশুলিয়ায় ছাত্র হত্যা মামলার আসামি তজিবর ডাকাত গ্রেপ্তার

দৌলতদিয়ায় বন্ধ ৭ নম্বর ফেরিঘাট, যানবাহন পারাপারে ভোগান্তি

১২ বছর ধরে হাত-পা বাঁধা প্রতিবন্ধী অভিজিৎ

জনবল সংকটে ভেঙে পড়েছে চিকিৎসাসেবা