জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান বিরোধিতাকারী ৭ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশে তাদের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেয়া হয়।
সাময়িক বরখাস্তকৃত এই ৭ শিক্ষক হলেন ড. আফরোজা বানু, সহযোগী অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ; অধ্যাপক ড. মো: বাকী বিল্লাহ, বাংলা বিভাগ; মো. শহীদুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগ ; অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগ; অধ্যাপক রবিউল হোসেন, বাংলা বিভাগ; অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোয়াদ্দার, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগ; অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগ।
অফিস আদেশে বলা হয়, গত জুলাই-আগস্ট ২০২৪ বিপ্লব সময়কালীন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের বিপ্লববিরোধী ভূমিকা চিহ্নিতকরণের জন্য ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী আপনার বিরুদ্ধে উক্ত কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ জড়িত থাকার অভিযোগে ৩০/১০/২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৭১তম (সাধারণ) সভার ১২৩নং সিদ্ধান্ত মোতাবেক সিন্ডিকেটের তারিখ থেকে আপনাকে চাকরির থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন আপনাকে জীবন-ধারণ ভাতা প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানবিরোধী ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে প্রশাসন। পরে প্রত্যক্ষদর্শী কর্তৃক প্রদত্ত লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ, তথ্যচিত্র, ভিডিও এবং পত্রিকার খবরের ভিত্তিতে এসব শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানবিরোধী কার্যকলাপের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।
এরপর প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয় এবং সর্বশেষ কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ৩০ অক্টোবর ২৭১তম সিন্ডিকেট সভায় ১৯ শিক্ষক ও ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় ইবি প্রশাসন।