ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে চুয়াডাঙ্গায় শীতের তীব্রতা ক্রমেই বাড়ছে। ভোরের টনটনে ঠান্ডা, কুয়াশার চাদর আর শীতল বাতাস মিলিয়ে এলাকাজুড়ে তৈরি হয়েছে শীতের আমেজ। কর্মজীবী মানুষ থেকে শুরু করে খেটে-খাওয়া মানুষেরা পড়ছেন চরম ভোগান্তিতে।
সোমবার সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ১৩ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। এর আগের দিন রোববার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, গত এক সপ্তাহে জেলার তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৮ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। তিনি আরো জানান, এবার শীতে ২-৩টি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
এদিকে শীতের এই তীব্রতায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষরা। আলমডাঙ্গায় এবার শীত নেমেছে আগেই, প্রতিদিনই কমছে তাপমাত্রা। রাতের কনকনে ঠান্ডায় কেউ রেলস্টেশনে, কেউ ফুটপাতে, আবার কেউ বাজারের বারান্দায় গামছা, লুঙ্গি কিংবা ছেঁড়া কাঁথা জড়িয়ে রাত কাটাচ্ছেন।
এত মানুষের কষ্টের কথা মাথায় রেখে কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই গতকাল রোববার গভীর রাতে পথে পথে ঘুরে ছিন্নমূল মানুষের হাতে কম্বল বিতরণ করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আশীষ কুমার বসু। আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন স্থানে শতাধিক মানুষ তার দেওয়া কম্বল পেয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেন। কম্বল বিতরণের সময় উপজেলার বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।