সুন্দরবনের জলজ পরিবেশ রক্ষায় শামুক–ঝিনুক নিধনের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান চালিয়ে আটজনকে আটক করেছে বনবিভাগ। বুধবার রাতের ওই অভিযানে চারটি নৌকা জব্দ করা হয়।
আটকরা হলেন, খুলনা জেলার কয়রা থানার আব্দুল ওয়াদুদ গাজী (৪০), খলিল সানা (৫৯), শফিকুল গাজী (৪৫), আবু সাইদ গাজী (৫৫), গফফার গাজী (৫১), দেলবর গাজী (৫৭), গোলাম মোস্তফা (৩৫) ও মাসুম বিল্লাহ (৩৪)।
বৃহস্পতিবার তাদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। জব্দ করা শামুক–ঝিনুক সাগরসংলগ্ন নদীতে অবমুক্ত করা হয়।
বনবিভাগ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের কোবাদক স্টেশনের বিভিন্ন পয়েন্টে একযোগে অভিযান চালানো হয়। কঞ্চির খাল এলাকায় শামুক–ঝিনুক আহরণে ব্যবহৃত চারটি নৌকা পেলে সেখান থেকে আটজনকে আটক করা হয়।
তাদের কাছ থেকে আহরণে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। আটক ব্যক্তিদের কাছে মাছ বা কাঁকড়া ধরার বৈধ পাশ থাকলেও ছিল না শামুক–ঝিনুক সংগ্রহের।
সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, শামুক–ঝিনুক নির্বিচারে সংগ্রহ চলতে থাকলে সুন্দরবনের জলজ পরিবেশ চক্র ভেঙে পড়বে। দীর্ঘদিন ধরে অসাধু ব্যক্তিরা এসব আহরণ করে পাচার করছিল। তাই কঠোর নজরদারি ও ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, জব্দ করা নৌকাগুলো বনবিভাগের হেফাজতে রাখা হয়েছে, আর শামুক–ঝিনুক প্রাকৃতিক পরিবেশে ফেরত দেওয়া হয়েছে। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২–এর তফসিল–২ অনুযায়ী শামুক–ঝিনুক ধরা, পরিবহন ও ব্যবসা করা নিষিদ্ধ।