চুয়াডাঙ্গায় গৃহবধূ লাইলী সুলতানা কুমকুম হত্যার দায়ে স্বামী শুকুর আলীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত এবং এ মামলায় শুকুর আলীর পিতা আসান মল্লিক ও মা সাহেদা খাতুনকে বেঁকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত শুকুর আলী আলমডাঙ্গা উপজেলার এনায়েতপুর স্কুলপাড়ার আসান মল্লিকের ছেলে। শুকুর আলী পলাতক রয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, আলমডাঙ্গার এনায়েতপুর গ্রামে ২০১৪ সালের ২৭ নভেম্বর যৌতুকের দাবিতে স্বামীর বাড়িতে লাইলী সুলতানা কুমকুমকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় কুমকুমের পিতা আলমডাঙ্গার পারদূর্গাপুরের শামসুল জোয়ার্দ্দার মেয়ে কুমকুমকে হত্যার অভিযোগে স্বামী শুকুর আলী, শ্বশুর আসান মল্লিক ও শাশুড়ি সাহেদা খাতুনকে আসামি করে আলমডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি দীর্ঘ তদন্ত শেষে আলমডাঙ্গা থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আনিছুর রহমান শুকুর আলীসহ তিনজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় শুকুর আলীকে মৃত্যুদণ্ড এবং দুইজনকে খালাসের আদেশ দেন আদালত।