হোম > সারা দেশ > খুলনা

আড়াই যুগ ধরে পরিত্যক্ত অর্ধশতাধিক ভবন, অপসারণে নেই উদ্যোগ

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ

শেখ মিরানুজ্জামান, বাগেরহাট

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে প্রায় আড়াই যুগ ধরে অর্ধশতাধিক ভবন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এর মধ্যে দেড়শ বছরের পুরোনো কুঠিবাড়ির কাচারিসহ রয়েছে সরকারি-বেসরকারি অনেক স্থাপনা। যে কোনো সময় এগুলো ধ্বংসের আশঙ্কায় জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি দেশজুড়ে ঘন ঘন একাধিক ভূমিকম্পের কারণে এগুলো বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, জরাজীর্ণ এ ভবনগুলো দ্রুত অপসারণে কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।

সরেজমিনে জানা গেছে, ১৮৫৭ সালে সিপাহি বিপ্লবকে দমন করে ইংরেজ শাসকরা এ দেশে তাদের শাসন দীর্ঘ করার লক্ষ্যে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তার মধ্যে কুঠিভিত্তিক শাসনব্যবস্থা ছিল অন্যতম। এরই অংশ হিসেবে ১৮৪৯ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রতিনিধি রবার্ট মোরেলের স্ত্রী হেনরি মোরেল সুন্দরবনের জমি বন্দোবস্ত নিয়ে উপজেলার পানগুছি নদীর তীরবর্তী পশ্চিম পাড়ে গড়ে তোলেন কুঠিবাড়ি ভবন।

এছাড়া উপজেলা প্রশাসনিক এলাকায় আশির দশক ও তার আগে নির্মিত একাধিক সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালতের কার্যক্রম চলা ভবন ও আবাসিক ভবন রয়েছে। বর্তমানে এ ভবনগুলো ২৫-৩০ বছর ধরে পরিত্যক্ত।

এরকম আরো ভবন রয়েছে উপজেলা প্রশাসনের আবাসিক কোয়ার্টার এলাকায়। উপজেলা পরিষদের কার্যক্রমের সূচনালগ্নে কোর্টের বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হওয়া ভবনটিতে পরবর্তীতে সেটেলমেন্ট অফিসের কার্যক্রম চলছিল। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা প্রথম ভবনটি দীর্ঘ ১৫-২০ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। তার পাশেই একসময়ের টিটিসি ভবনটিও পরিত্যক্ত। সহকারী শিক্ষা অফিসারদের বসবাসের আবাসিক ভবনটিও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

এদিকে বছরের পর বছর ঝুঁকি নিয়ে কার্যক্রম চলছে উপজেলা কৃষি অফিস, হিসাবরক্ষণ অফিস, পরিসংখ্যান অফিস ও দারিদ্র্য বিমোচন অফিস ভবনটিতে। জরাজীর্ণ-পরিত্যক্ত এসব ভবনের মধ্যে আবাসিক টিনশেডের অধিকাংশ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে থাকছেন বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, উপজেলা প্রশাসনের আবাসিক এলাকায় দুবছর আগে চারটি পরিত্যক্ত ভবনের তালিকা ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এসব বিষয়ে আমরা পরবর্তী নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছি।

উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার আব্দুল্লাহ আল জাবির বলেন, উপজেলা পরিষদের পুরাতন ভবন ও বেশ কিছু আবাসিক ভবন ইতোমধ্যে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। চিহ্নিত ভবনের তালিকা তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। তাদের নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. কামাল হোসেন মুফতি বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, আবাসিক মেডিকেল অফিসারের বাসভবনসহ ছয়টি ভবন দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত। এগুলো অপসারণের জন্য ইতঃপূর্বে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ ভবনগুলো অপসারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করবেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, সম্প্রতি আমরা বাংলাদেশে অনেকগুলো ভূমিকম্পের সম্মুখীন হয়েছি। এ উপজেলায় বেশকিছু পরিত্যক্ত ভবন রয়েছে। উপজেলা পরিষদের সভায় উত্থাপন করে এগুলো অপসারণের প্রস্তাব রাখা হবে।

যৌথবাহিনীর হাতে আটক বহিষ্কৃত যুবদল নেতার কারাগারে মৃত্যু

সুন্দরবনে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বনদস্যু বাহিনী

১১ লাখ টাকা নিয়েও পদ না দেওয়ার অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে : রাশেদ খাঁন

দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে আসছে মাদক ও অস্ত্র

সরকারি জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ আ. লীগ নেতার

তীব্র শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড

হাসিনার ষড়যন্ত্রে খালেদা জিয়া হেনস্তার শিকার হয়েছেন: রাশেদ খান

শিশু সাবা হত্যাকারীদের কোনো ছাড় নয়: অ্যাটর্নি জেনারেল

যশোরে দুই কোটি টাকার সোনার বার উদ্ধার, আটক ২