হোম > সারা দেশ > খুলনা

চৌগাছায় সড়কের সৌর লাইট প্রকল্প থেকে কোটি টাকা লুটপাট

উপজেলা প্রতিনিধি, চৌগাছা (যশোর)

যশোরের চৌগাছা পৌরসভায় সৌর স্ট্রিট লাইট প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে কোটি টাকা লুটপাট করার অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তৎকালীন পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা নুর উদ্দিন আল মামুন হিমেল, সে সময়ের পৌর সচিব আবুল কাশেম এবং কয়েকজন কাউন্সিলররা মিলে এ লুটপাট চালিয়েছে বলে অভিযোগ।

জানা গেছে, বাজার মূল্যের থেকে কমপক্ষে চার/পাঁচগুণ বেশি দামে এ লাইট ক্রয় দেখানো হয়েছে। পৌরসভায় সংরক্ষিত নথিপত্র থেকে জানা যায়, স্ট্রিট লাইট প্রকল্প শুরু হয় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে। ওই বছরে ৭৫টি লাইট স্থাপনের জন্য বরাদ্দ করা হয় ৯৪ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা। এ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ছিল বিডিএস এনার্জি সোলার নামে একটি অখ্যাত প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির মালিকের নাম লেখা আছে বকুল হুসাইন। আর প্রতিটি লাইট স্থাপনে খরচ দেখানো হয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ৫৮০ টাকা। অথচ সেই সময় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকায় উন্নতমানের লাইট স্থাপন করা সম্ভব ছিল।

পরবর্তীতে ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৩৮টি লাইট স্থাপনের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ২ কোটি ৯৮ লাখ ৮৮ হাজার ৪০ টাকা। এ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দেখানো হয়েছে ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিন ওয়ার্কশপ নামে নারায়ণগঞ্জের একটি প্রতিষ্ঠানকে । এ বছরও প্রতিটি লাইট স্থাপনে ব্যয় দেখানো হয় ১ লাখ ২৫ হাজার ৫৮০ লাখ। পরের বছর অর্থাৎ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১১২টি স্ট্রিট লাইট স্থাপনের জন্য বরাদ্দ করা হয় ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখানো হয় ঢাকার ভাটারা এলাকার বিএসএল ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে।

এ বছরে প্রতিটি লাইট স্থাপনের খরচ বৃদ্ধি পেয়ে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯২৮ টাকা। এভাবে দেখা যাচ্ছে পৌরসভায় সর্বমোট ৪২৫টি সৌর স্ট্রিট লাইট স্থাপনে মোট খরচ দেখানো হয়েছে ৫ কোটি ৪৩ লাখ ৬ হাজার ৫৪০ টাকা। অর্থাৎ গড়ে প্রতিটি লাইটের স্থাপন খরচ দেখানো হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ৭৮০ টাকায়। লাইট স্থাপনে জড়িত একাধিক ব্যক্তিরা বলেন, লাইট স্থাপনের খরচ চার/পাঁচগুণ বেশি দেখিয়ে পুকুরচুরি করা হয়েছে। লাইট সংশ্লিষ্ট অন্য একটি সূত্র বলছে, আদৌ পৌর এলাকায় ৪২৫টি লাইট স্থাপন করা হয়েছে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। কেন না ৪২৫টি স্ট্রিট লাইট মানে প্রতি ওয়ার্ডে অন্তত ৪৭টি লাইট স্থাপন করতে হবে। কিন্তু বাস্তবে তা চোখে পড়ে না।

এদিকে কোটি কোটি টাকায় স্থাপিত লাইটগুলোর বেশির ভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। স্টিল পাইপে লাইটগুলো স্থাপনের কথা থাকলেও বেশির ভাগ পোস্টে পুরাতন পাইপ রঙ করে ব্যবহার করা হয়েছে । যার ফলে পাইপগুলো মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে গেছে। আর নিম্নমানের ব্যাটারি ব্যবহার করার কারণে বেশির ভাগ লাইট এখন জ্বলে না। যেগুলো জ্বলে সেগুলোও সন্ধ্যার দুই/তিন ঘণ্টা পর বন্ধ হয়ে যায়। সবমিলিয়ে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার সৌর স্ট্রিট লাইট প্রকল্পটি ছিল লুটপাটের আখড়া।

এ ব্যাপারে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন বলেন, সে সময় আমি এখানে ছিলাম না, তাই আমার কিছুই বলার নেই। পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আব্দুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের পুরো সময়টা চৌগাছা পৌরসভা ছিল একটা দুর্নীতির আখড়া। কেবল লাইট প্রকল্প নয়, সব প্রকল্পই ছিল আওয়ামী নেতাদের লুটপাটের আঁতুড়ঘর।

এক দিনের ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গায় কমলো তাপমাত্রা

মোংলায় যুবলীগ নেতা আটক

শ্যামনগরে পিস্তলসহ শীর্ষ চোরাকারবারী মামুন কয়াল আটক

সুন্দরবনে জেলেকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি

ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনে ছয় নদীতে উচ্ছেদ অভিযান

নড়াইলের ‘মাদক সম্রাজ্ঞী’ রিক্তা আটক

খুলনায় আমার দেশের দুই সাংবাদিকের ওপর হামলায় মামলা

ভেড়ামারায় ১২ কিলোমিটার মানববন্ধন বিএনপি সমর্থকদের

সুন্দরবনে নিখোঁজের দুই দিন পর প্রবাসী পাইলটের লাশ উদ্ধার

এখনও উদ্ধার হয়নি নিখোঁজ নারী পাইলট রিয়ানা