জামালপুরে কাভার্ডভ্যান ও ইজিবাইক সংঘর্ষে ৪ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জামালপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কের জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চলের গেটের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
মর্মান্তিক এই সড়ক দুর্ঘটনায় সরিষাবাড়ী উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের সানাকৈর পূর্বপাড়া গ্রামের হায়দার আলীর পুত্র পলিটেকনিক ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল ইসলাম রাশেদ (২২), আরিফা আক্তার পলি (২৪), রাশেদ মিয়া (১৮) ও জামালপুর সদর উপজেলার চাঁন মিয়া (৬০) নিহত হন।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন আরশ (৫), জাহাঙ্গীর (৩৪), সাদিকা (২৮), ফারজানাসহ (২৫) চারজন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুস সাকিব।
নিহত আরিফার স্বজনরা জানায়, অনার্স ইনকোর্স পরীক্ষা দেওয়ার জন্য তার ছেলেকে নিয়ে অটোরিকশা করে কলেজে যাচ্ছিলেন। ইপিজেড এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় আরিফা মারা যান। তার পাঁচ বছরের পুত্র সন্তান গুরুতর আহত হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জামালপুর থেকে টাঙ্গাইলগামী একটি কাভার্ডভ্যান জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চলে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী একটি ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে রাশেদ নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চান মিয়া ও আরিফা আক্তার পলি ও রাশেদের মৃত্যু হয়।
আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘাতক ট্রাকটি ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে রাস্তার পাশে রেখে চালক পালিয়ে যান। পরে সেখান থেকে ট্রাকটি আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
নিহত রাশেদের বোন হুসনা আক্তার বলেন, সকালে নানাবাড়ি যাওয়ার জন্য রাশেদ বাড়ি থেকে বের হয়। একটার দিকে শুনি রাস্তায় এক্সিডেন্টে মারা গেছে। রাশেদ ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা করে।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুস সাকিব বলেন, দুর্ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।