হোম > সারা দেশ > ময়মনসিংহ

সরিষার চাষ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে জামালপুরে, ভালো ফলনের আশা

উপজেলা প্রতিনিধি, মেলান্দহ (জামালপুর)

ছবি: আমার দেশ।

ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে সরিষা চাষে ঝুঁকছেন জামালপুরের মেলান্দহের কৃষকরা। গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ৩৪২ হেক্টর বেশি জমিতে সরিষা চাষ করেছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় সরিষার ফলনও ভালো হবে বলে আশা করছেন তাঁরা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২৩ সালে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ৫০০ হেক্টর, আবাদ হয়েছে ৬ হাজার ৫৭০ হেক্টর। ২০২৪ সালে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ৯০০ হেক্টর; আবাদ হয়েছে ৬ হাজার ৯৭০ হেক্টর। ২০২৫ সালে অর্থাৎ এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ হাজার ১২০ হেক্টর; আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ১২২ হেক্টর জমিতে। গত কয়েক বছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৪২ হেক্টর জমিতে বেশি সরিষা চাষ হয়েছে এ অঞ্চলে।

জানা গেছে, উপজেলায় বারি ১৪, বারি ১৫, বিনা ১১, বিনা ৯ ও টরি ৭ জাতের সরিষার চাষ হয়। এর মধ্যে বারি ১৪ জাতের সরিষার চাষ হয় সবচেয়ে বেশি। জমিতে বীজ ছিটানোর ৭৫ থেকে ৮০ দিনের মধ্যে বারি জাতের সরিষা ঘরে তোলা যায়। আর বিনা জাতের সরিষা ঘরে তুলতে সময় লাগে ১০৫ থেকে ১১০ দিন। তাই বারি জাতের সরিষাই এ অঞ্চলের কৃষকরা বেশি চাষ করেন। বাজারে ভোজ্যতেলের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় তাদের চাহিদা মেটাতে সরিষার চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া, সরিষা চাষে সময় ও খরচ কম হলেও এর ফলন ও দাম বেশি হওয়ায় সরিষা চাষে কৃষকের আগ্রহ বেশি।

সরেজমিনে, ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের চর ঘোষেরপাড়া, ছবিলাপুর, বংশী বেলতৈল, মাহমুদপুর ইউনিয়নের পুটিয়াপাড়া, পয়লা, শাহিন বাজার এলাকা, চরবানিপাকুরিয়া ইউনিয়নসহ মেলান্দহ ও হাজরাবাড়ি পৌরসভার বিস্তীর্ণ মাঠ সরিষার ফুলে ফুলে ভরে গেছে। দৃষ্টিনন্দন হলুদ ফুলের এমন মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত সরিষা মাঠ। খেতের আইলে বসে দর্শনার্থীদের অনেকেই সেলফি তুলছেন। আবার কেউ সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহের জন্য মৌ বাক্স বসাচ্ছেন মাঠের কাছাকাছি।

ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের বংশী বেলতৈল গ্রামের কৃষক সবুর মিয়া, আকবর আলি ও দুলালসহ বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, সরিষা তেল ভোজ্য তেলের চাহিদা মেটায়। এর পুষ্টিগুণও ভালো। সরিষার খৈল গো-খাদ্য ও সার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায় শুকনো গাছকে। তাছাড়া, মৌ-বাক্স বসিয়ে সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহ করেও অর্থ উপার্জন করা যায়। এমন নানাবিধ সুবিধার কারণে প্রতি বছরই সরিষা চাষ করেন বলেও জানান তাঁরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রউফ জানান, উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নে ১ হাজার ৮০ হেক্টর, মাহমুদপুর ইউনিয়নে ৯ শত হেক্টর, আদ্রা ইউনিয়নে ৬ শত ২০ হেক্টর, চরবানিপাকুরিয়া ইউনিয়নে ৬ শত হেক্টর ও অন্যান্য এলাকাসহ মোট ৭ হাজার ১২২ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। উপজেলার এসব এলাকার ৫ হাজার ৩০০ জন সরিষা চাষীদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ নিয়মিত মাঠ মনিটরিং করছেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষকদের। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চাহিদার তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেশি উৎপাদন হবে বলেও তিনি আশা করেন।

বিজিবির হাতে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় থান কাপড় জব্দ

পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নালিতাবাড়ীতে দুইজনের মৃত্যু

ঈশ্বরগঞ্জে পিকআপ–মোটরসাইকেল সংঘর্ষে যুবকের মৃত্যু

একসময়ের উপদ্রব বিলের ঝাই এখন মাছের প্রিয় খাবার

বিধিভঙ্গের দায়ে বিএনপি প্রার্থীকে শোকজ করল নির্বাচন কমিশন

২৯ দিন পর উৎপাদনে গেল যমুনা সার কারখানা

মেলান্দহে ‘আমার দেশ’র বর্ষপূর্তি উদযাপন

বকশীগঞ্জে দৈনিক ‘আমার দেশ’র বর্ষপূর্তি উদযাপন

তারেক রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ-গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন হবে

মদনে সরকারি রাস্তা কেটে দিলো আ.লীগ নেতা