বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, জিয়া পরিবারকে নিয়ে যারা ভয় সৃষ্টি করতে চায় তারা গণভিত্তিহীন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তাই প্রতিপক্ষের ভয়ের কারণ। তিনি বলেন, জিয়া পরিবারের অবস্থান জনগণের হৃদয়ের মণিকোঠায়, তাই তাদের ছবি দেখিয়ে বিএনপিকে ভোট চাইতে হয় না; নির্বাচন এলে জনগণ ভালোবাসা থেকেই বিএনপিকে নির্বাচিত করে।
বুধবার বিকেলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের দর্শা বাজারে গণসংযোগ ও পথসভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় নির্বাচন কমিশনে বিএনপির নির্বাচনী প্রচারণায় শহীদ জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে এনসিপির প্রস্তাবের সমালোচনা করেন তিনি।
পথসভা শুরুর আগে তিনি দর্শা বাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন এবং তারেক রহমানের ৩১ দফা, বিএনপির জনকল্যাণমূলক ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং ধোবাউড়া-হালুয়ঘাটের উন্নয়নে তার ব্যক্তিগত কর্মসূচি সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপি আইন মেনেই রাজনীতি করে। নির্বাচন শিডিউল ঘোষণার পর আইন অনুযায়ী দলীয় প্রধানের ছবিই নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহার করা হবে। অতীতেও তা হয়েছে। আওয়ামী লীগ যেমন জিয়া পরিবার ও বিএনপির গ্রহণযোগ্যতাকে ভয় পেত, তেমনি নতুন ও পুরনো অন্য কিছু দলও এখন একই ভয় অনুভব করছে। হিংসা ও বিদ্বেষে রাজনীতিতে কোনো অর্জন আসে না, নবীন দলগুলোকে এ সত্য অনুধাবন করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারসহ ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক, যুবক, নারীসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কল্যাণে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবে। তিনি বলেন, কৃষকদের একটি ফসলের সম্পূর্ণ উৎপাদন খরচ সরকার বহন করবে এবং ফার্মার্স কার্ডের মাধ্যমে ন্যায্য দামে পণ্য সরাসরি সরকারের কাছে বিক্রি করার সুযোগ তৈরি করা হবে। প্রতি ইউনিয়নে ধান ক্রয়কেন্দ্র স্থাপন, খাল খননের মাধ্যমে সেচব্যবস্থা উন্নয়ন, প্রতিটি পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে বিনামূল্যে খাদ্যদ্রব্য ও চিকিৎসাসেবা প্রদান, বেকার ভাতা চালু এবং সরকার গঠনের প্রথম ১৮ মাসে এক কোটি কর্মসংস্থান তৈরির প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
কৈইচাপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব নুরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত পথসভায় আরও বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম মিয়া বাবুল, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক হানিফ মোহাম্মদ শাকের উল্লাহ, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী ফরিদ আহমেদ পলাশ, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সুলতান মহিউদ্দিন, উপজেলা বিএনপির নেতা মোরশেদ আলম এবং জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক আবদুল মালেক।