শেরপুরের গাজীরখামার ইউনিয়নের চারটি গ্রামে একটি পাগলা শিয়ালের কামড়ে ২২ জন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। আহতদের আর্তনাদ শুনে স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে শিয়ালটিকে ধরে পিটিয়ে মেরে ফেলে।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে শিয়ালটি প্রথমে দিকপাড়া গ্রামে ৪ জনকে, এরপর গির্দ্দাপাড়া গ্রামে ১০ জনকে, তারপর নাকশি গ্রামে ৪ জনকে এবং সর্বশেষ পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামে ৪ জনকে কামড়ে আহত করে।
পরে আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে শেরপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আহত সবাইকে অ্যান্টি-র্যাবিস ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চলছে। ঘটনার পর থেকে চারটি গ্রামজুড়ে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয় প্রশাসন থেকে মসজিদে মাইকিং করে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বনবিভাগ ও প্রাণিসম্পদ অফিসে খবর দেওয়া হয়েছে, যাতে আশপাশে আরও এমন প্রাণী থাকলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, শিয়ালটি জলাতঙ্ক (র্যাবিস) রোগে আক্রান্ত ছিল। স্থানীয় জনগণকে কামড় খেলে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ২৫০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক উম্মে সালমা আখি বলেন, “কিছুদিন যাবৎ হাসপাতালে কুকুর ও শিয়ালের কামড়ানো রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ১৪ জন শিয়ালের কামড়ানো রোগী পেয়েছি। আমরা সাধ্যমতো চিকিৎসা দিয়েছি, এছাড়া হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভ্যাকসিন রয়েছে।”