নাটোরের লালপুরে ফজরের নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার ঈশ্বরদী ইউনিয়নের নুরুল্লাপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছে আরো দুইজন।
নিহত কাওসার হোসেন মাহিম (১০) নুরুল্লাপুর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে ও নুরুল্লাপুর দাখিল মাদ্রাসার ইবতেদায়ী শাখার তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। আহতরা হলেন ওই একই গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে সাদ আহমেদ ও মৃত নিয়াত সরদারের ছেলে আব্দুল হাকিম।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) ভোরে কাওসার হোসেন মাহিম ফজরের নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্য বাড়ি থেকে বের হয়ে মসজিদে যাওয়ার পথে ঈশ্বরদী থেকে ছেড়ে আসা কামারহাটি অভিমুখে একটি স্যালো ইঞ্জিন চালিত কুর্তি গাড়ি নুরুল্লাপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চাপা দিলে ঘটনাস্থলে মহিম, আব্দুল হাকিম ও নুরুল্লাপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম সাদ আহমেদ গুরুতর আহত হন। এ সময় মুসল্লিসহ পরিবারের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা জেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে গুরুতর আহত মাহিমকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আহত সাদ আহমেদকে লালপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেন।
কাওসার হোসেন মহিমের চাচা আলতাফ হোসেন (৪২) জানান, ভোরে মাহিম বাড়ি থেকে ওজু করে মসজিদে জামাতের সহিত নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্য বের হয়। মাহিম মসজিদের সামনে পৌঁছালে একটি স্যালো ইঞ্জিন চালিত কুর্তি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহিমসহ আরো কয়েক জনকে চাপা দিলে গুরুতর আহত হয়। পরে মুসল্লি ও পরিবারের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মাহিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে মাহিমকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে বাঘা এলাকায় পৌঁছালে মাহিমের মৃত্যু হয়।
লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। গাড়িটিকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে।