বিএসএফের মাধ্যমে পুশইনের পর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাবন্দি অন্তঃসত্ত্বা সোনালিসহ ৬ ভারতীয় জামিন পেলেও নিজ দেশে ফেরা হচ্ছে না। বুধবার আদালতে হাজিরা শেষে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তাদের আইনজীবী একরামুল হক পিন্টু।
এর আগে গত সোমবার শুনানি শেষে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (তৃতীয় আদালত) মো. আশরাফুল ইসলাম তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। ওই দিন রাতেই জেলা কারাগার থেকে তারা জামিনে বেরিয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে উঠলে দেড় ঘণ্টার মাথায় আবারো পুলিশ তাদের হেফাজতে নেয়।
পরে গতকাল আবারো আদালত থেকে আসামিদের জিম্মাদার চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার নয়াগোলার বাসিন্দা ফারুক হোসেনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আজ সকালে হাজিরা শেষে তারা আত্মীয়ের বাসায় ফিরে যান। তবে তারা নিজ জন্মভূমি ভারতে ফিরে যাওয়ার আকুতি জানান।
আইনজীবী একরামুল হক পিন্টু আরো বলেন সোনালী খাতুন যে কোনো সময় বাচ্চা প্রসব করতে পারেন। এই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তিনিসহ বাকি আরো তিনজনকে জামিন দেয়া হয়েছে। তবে মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তারা নিজ দেশে ফিরতে পারবে না। আপাতত পৌর এলাকার নয়াগোলার বাসিন্দা জিম্মাদার ফারুক হোসেনের বাসায় থাকতে হবে। আগামী ২৩ ডিসেম্বর হাজিরার পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।
ভারতীয়রা হলেন- পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বীরভূম জেলার পাকুরের দানিশ শেখ (২৮), তার স্ত্রী সোনালি বিবি (২৬), সুইটি বিবি (৩৩) ও তার দুই সন্তান, মো. কুরবান দেওয়ান (১৬)। এছাড়াও সুইটি বিবির আরেক সন্তান মো. ইমাম দেওয়ান (৬) ও সোনালী বিবির সন্তান সাব্বির শেখ (৮) কারাগারে বন্দি থাকলেও মামলার আসামি ছিলেন না।
গত ২০ আগস্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের আলীনগর থেকে ওই ৬ ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের কুড়িগ্রামের একটি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশইন করে বিএসএফ। পরে তাদের বিরুদ্ধে সীমান্তে অনুপ্রবেশ আইনে মামলা দায়েরের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে ওই ছয়জনের মধ্যে দুইজন কোলের শিশু হওয়ার মামলায় তাদের আসামী করা হয়নি।