হোম > সারা দেশ > রংপুর

অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াজেদের দুর্নীতি প্রমাণিত, নেয়া হয়নি ব্যবস্থা

নীলফামারীর আওয়ামী দোসর

আব্দুর রাজ্জাক, জেলা প্রতিনিধি, নীলফামারী

অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াজেদের দুর্নীতি প্রমাণিত

নীলফামারী সদর উপজেলার দুহুলী আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াজেদের বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির দু’টি অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হলেও, এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

শিক্ষক ও কর্মচারীদের দেয়া অভিযোগ মতে, আওয়ামী দোসর আব্দুল ওয়াজেদ ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর তৎকালীন নীলফামারী-২ আসনের এমপি ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুরের মদদে দুহুলী আলিম মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। মাদ্রাসাটি সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হন নীলফামারী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন মুন। এমপি ও সভাপতির ছত্রছায়ায় যোগদানের পর থেকে মাদ্রাসাটিকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করে অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াজেদ।

তার বিরুদ্ধে কথা বললে বিএনপি-জামায়াত-শিবির-জঙ্গি আখ্যা দিয়ে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে তাকে নানাভাবে হয়রানি করা হতো। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের পতনের পর অধ্যক্ষের সীমাহীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে শিক্ষকরা সোচ্চার হয়ে ওঠেন। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্নস্থানে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া হয়।

অভিযোগ মতে, টিউশন ফি ১০ লাখ, চার একর জমি লিজের ১০ লাখ ২৫ হাজার টাকা, সাতটি মেহগনি গাছ বিক্রির ২ লাখ ১০ হাজার টাকা, পুরাতন ভবনের অবকাঠামো বিক্রির ২ লাখ টাকা, অবকাঠামো উন্নয়নের অনুদান ৫২ হাজার টাকা, মাদ্রাসার গচ্ছিত তহবিল থেকে উত্তোলন ৬৭ হাজার টাকা, অসুস্থ প্রভাষকের বেতন থেকে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে ছয় বছরে সাত লাখ ২০ হাজার টাকা গ্রহণ, এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারিশকৃত শিক্ষকদের কাছ থেকে ৯০ হাজার টাকা গ্রহণ, শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেল ফাইলে স্বাক্ষর দেয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা নেয়া, উপবৃত্তির ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা, বিভিন্ন সনদপত্র বিক্রির পাঁচ লাখ টাকাসহ বিভিন্ন খাতের ৪৩ লাখ ১৬ হাজার টাকা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াজেদ। তার বিরুদ্ধে উপরিউক্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন নীলফামারী সদর ইউনিটের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফারুক হোসেন ও নীলফামারী উপজেলা মৎস্য অফিসের উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুস সালামকে প্রধান করে দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

দীর্ঘ তদন্তের পর বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন নীলফামারী সদর ইউনিটের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফারুক হোসেন কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

দু’টি তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয় অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াজেদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। প্রথম তদন্তের পর ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর অধ্যক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এদিকে দুর্নীতির দায়ে অধ্যক্ষকে স্থায়ীভাবে অপসারণের জন্য দু’টি তদন্ত প্রতিবেদনের কপিসহ চলতি বছরের ২০ মার্চ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে আবেদন করেন শিক্ষকরা। কিন্তু মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এখনো তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেয়ায় শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ। অপর একটি সূত্র জানায়, অধ্যক্ষ মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তার দুর্নীতি ধামাচাপা দেয়ার পাঁয়তারা করছেন।

দুহুলী আলিম মাদ্রাসার বর্তমান সভাপতি মাওলানা আব্দুল হাই বলেন, অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা অধ্যক্ষকে আবারো পুনর্বাসন চেষ্টা চালাচ্ছেন। নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় অধ্যক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে স্থায়ীভাবে অপসারণের ক্ষমতা আমার নেই।

নবাবগঞ্জে বিএনপির আয়োজনে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

উদ্বোধনের চার বছরেও চালু হয়নি চিরিরবন্দর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র

নবাবগঞ্জে শতাধিক পরিবারের জামায়াতে যোগদান

পলাশবাড়ীতে দেশের সর্বোচ্চ শ্রীকৃষ্ণের বিগ্রহ উদ্বোধন

ভাদুরিয়া উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র ১০ শয্যা হাসপাতালে উন্নীত করার দাবি

কুড়িগ্রামে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মিছিল

সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার

পাটগ্রাম চতুরবাড়ি সীমান্তে ৬১ বিওপি স্থাপন করল বিজিবি

জামায়াতের ৪০ নেতাকর্মীর বিএনপিতে যোগদান

আগাম আলুর বেশি দাম, ফুলবাড়ীতে কৃষকের মুখে হাসি